নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারির মধ্যে জনগণকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জরিমানায় কাজ না হলে শাস্তি আরও কঠোর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কোন বিষয় উঠে এসেছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আবারও মাস্কের বিষয়টি খুবই স্ট্রংলি এসেছে। গতকাল (রোববার) বিভাগীয় কমিশনররা জানিয়েছেন, গত সাত দিন ধরে তারা ম্যাসিভলি ফাইন (বড় ধরনের জরিমানা) করছেন। গতকালও কয়েক হাজার লোককে জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি আরও এক সপ্তাহ দেখতে। জরিমানায়ও যদি মানুষ সচেতন না হয় তাদের আরও মোটিভেশন করুন, তারপর আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে (কঠোর শাস্তি) যেতে হবে।’
ঢাকায় রোববার ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
কারাবাসের সাজা দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দেখা যাক। হয়তো ফাইনও বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। এখন হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করছে সেটা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করে দিতে পারে। আমরা আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে বলছি।’
‘যারা মোবাইল কোর্ট করবে তারা মাস্কও সঙ্গে নিয়ে যাবে। যাতে মানুষকে ফাইন করার সঙ্গে সঙ্গে ওটাও দিয়ে দেয়া যায়। গতকাল কমিশনার কনফারেন্সে ধর্ম ও শিক্ষা সচিবও ছিলেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের প্রচারণার জন্য তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে।’
হাসপাতালে রোগী বেড়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেটা থেকে মনে হচ্ছে যে, এটা (কোভিড-১৯) আরেকটু বেড়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে বলেছেন, আরও বেশি বেশি করে প্রচার করো, ফোর্স করো যাতে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে যতই ভ্যাক্সিন বলেন আর ওষুধ বলেন প্রোটেকশন কোনো কাজে আসবে না।’