নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক মিজানুর রহমান খান সংবিধান, আইন ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার গবেষণাকর্মের মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। প্রয়াতের অন্তিম যাত্রায় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে একথাই বললেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক ও দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের পূর্বে তিনি একথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক ও মিজানুর রহমান খানের ছোট ভাই মসিউর রহমান খান, অপর ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান, দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সাংবাদিকদের সাহসীপ্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করে এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় বহু সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, কয়েকশত সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমি তাদের কাউকে করোনাকালে কর্তব্যপালনে শঙ্কিত হতে দেখিনি। মিজানুর রহমান খানও ঠিক একইভাবে আমৃত্যু রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, কাজ করে গেছেন। অজস্র সংবাদ এবং সংবিধান, আইন ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার গবেষণাকর্মের মধ্যেই চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কন্ঠ এসময় বাষ্পরূদ্ধ হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘একটু আগে তার সন্তান কাঁদছিল, আমি সেই কান্না সহ্য করতে পারিনি, আমি আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করি, তার সন্তানদের নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, সে স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হোক। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সহায়তা করবো। আরো সহায়তা লাগলেও আমরা করবো। তার পরিবার যেন এই শোক সইতে পারে, সেই প্রার্থনা আল্লাহ’র কাছে করছি।’