দুদক কর্তৃক চার্জশিট অনুমোদন

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি : ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক করমকাণ্ডে সম্পৃক্ত কাজী আনিছুর রহমান কর্তৃক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে কাজী আনিছুর রহমান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে উপর্যুক্ত অপরাধে দায়ে দায়েরকৃত দুইটি মামলায় কমিশন কর্তৃক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন প্রদান করা হয়।


বিজ্ঞাপন

বিস্তারিতঃ
ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক করমকাণ্ডে সম্পৃক্ত কাজী আনিছুর রহমান কর্তৃক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজ নামে ১২,৮০,৬০,৯২০.৬৭/- (বার কোটি আশি লক্ষ ষাট হাজার নয়শত বিশ টাকা সাতষট্টি পয়সা) টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তার দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য উপপরিচালক মোঃ গুলশান আনোয়র প্রধানকে তদন্তকারী নিয়োগ করা হয়।তিনি তদন্ত সম্পন্ন করে কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।


বিজ্ঞাপন

তদন্তকালে আসামি কাজী আনিছুর রহমান এর নামে ১৮,৮৯,০১,৩৩৫/- টাকার নিট সম্পদ পাওয়া যায়। বর্ণিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য বা বৈধ আয় দেখা যায় ৩,৯৩,৭১,৪৯৯/- টাকা মাত্র অর্থাৎ তিনি মোট (১৮,৮৯,০১,৩৩৫ +৩,৯৩,৭১,৪৯৯) = ১৪,৯৫,২৯,৮৩৬/- (চৌদ্দ কোটি পঁচানব্বই লক্ষ ঊনত্রিশ হাজার আটশত ছত্রিশ) টাকার আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫ টি হিসাবে ২০১১ সাল থেকে মোট ১২৯,৯১,১৭,২১৩/- (একশত ঊনত্রিশ কোটি একান্নব্বই লক্ষ সতেরো হাজার দুইশত তেরো) টাকা জমা করেন। যার মধ্যে শেয়ার ব্যবসাসহ অন্যান্য আয় রয়েছে ৬,৩৬,৭১,৩৬৫/- টাকা মাত্র । এক্ষেত্রে তিনি (১২৯,৯১,১৭,২১৩ + ৬,৩৬,৭১,৩৬৫) = ১২৩,৫৪,৪৫,৮৪৮/- (একশত তেইশ কোটি চুয়ান্ন লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার আটশত আটচল্লিশ) টাকার সন্দেহজনক লেনদেন বা অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে তা স্থানান্তর, হস্থান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বর্ণিত প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশের আলোকে আসামি কাজী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে উপর্যুক্ত অপরাধের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় কমিশন কর্তৃক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন প্রদান করা হয়।

ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক করমকাণ্ডে সম্পৃক্ত কাজী আনিছুর রহমানের সহায়তায় তার স্ত্রী মোছা. সুমি রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে ১,৩১,১৬,৫০০/- (এক কোটি একত্রিশ লক্ষ ষোল হাজার পাঁচশত) টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্র্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক সূত্রোস্থ মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য উপপরিচালক মোঃ গুলশান আনোয়ার প্রধানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তিনি তদন্ত সম্পন্ন করে কমশিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্তকালে আসামি মোছাঃ সুমি রহমানের নামে ২,৬৩,৬২,২১৮/- টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। বর্ণিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য বা বৈধ আয় দেখা যায় ২,০০,০০০/- টাকা মাত্র অর্থাৎ তিনি মোট (২,৬৩,৬২,২১৮- ২,০০,০০০) = ২,৬১,৬২,২১৮/- টাকার আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এক্ষেত্রে তার স্বামী কাজী আনিছুর রহমান অবৈধ অর্থ বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীর হিসাবে স্থানান্তরসহ স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বর্ণিত প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশের আলোকে আসামি মোছা. সুমি রহমান ও তার স্বামী কাজী আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে উপর্যুক্ত অপরাধে দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় কমিশন কর্তৃক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন প্রদান করা হয়।