কাফরুলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি : র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এর নেতৃত্বে বুধবার সকাল ১০.০০ ঘটিকা হতে দুপুর ১৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার কাফরুল থানাধীন দক্ষিন ইব্রাহিমপুর স্বাধীনতা চত্তর নিকটবর্তী একটি বাসা হতে অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ভেজাল খাদ্যপণ্য তৈরীর অপরাধে নিম্নোক্ত ০১ ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়ঃ


বিজ্ঞাপন

ক। আলী আজগর (৩৮), জেলা- ভোলা এর নিকট হতে নগদ ৬,০০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়।

এছাড়াও উক্ত বাসা হতে নিম্নবর্ণিত আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান নকল দেশীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসমূহের ঘি, বাটার ওয়েল, বিদেশী নামী-দামী ব্র্যান্ডের সয়া সস, অয়েস্টার সস, ফিস সস জব্দ করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়ঃ

(১) বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের ঘি/বাটার অয়েল নকল করে বিক্রয় এবং একইসাথে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘি এর কৌটা সংগ্রহ করে ডেট ট্যাম্পারিং এর মাধ্যমে পুনরায় উৎপাদনের তারিখ বসায়।

(২) ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডের কালার ব্যবহার করে এবং পন্যের মোড়কে/ লেবেলে মিথ্যা তথ্য “মালয়েশিয়া হতে আমদানিকৃত” উল্লেখ করে অন্য ব্র্যান্ডের চিলি সস উৎপাদন ও বিক্রয়; যাতে সসের মুল উপাদান চিলি অথবা টমেটো ব্যবহার করা হয়নি।

(৩) মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্ল্যাসিয়াল এসিটিক এসিড দিয়ে সাদা সিরকা/ভিনেগার তৈরি করে।

(৪) কোনো প্রকার সয়াবিন ব্যবহার না করেই টেস্টিং সল্ট, চিনি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডের কালার, স্লট নিউট্রিলাইজার কেমিক্যাল ব্যবহার করে সয়া সস উৎপাদন করে।

(৫) কোনো প্রকার তারিখ বিহীন সাদা রঙের কেমিক্যাল (নামহীন) ব্যবহার করে কেওড়া জল ও গোলাপ জল তৈরি।

(৬) মেয়াদ উত্তীর্ণ কোকোয়া সলিডের বাল্ক (২৫ কেজি ব্যাগ) হতে ছোট প্যাকে কোকোয়া বাটার নামে বিক্রি করে।

(৭) মোড়কে/লেবেলে মিথ্যা উৎপাদন স্থলের ঠিকানা (মীরেরবাজার, গাজীপুর) উল্লেখ করে কাস্টার্ড, বেকিং পাউডার, এসেন্স মোড়কজাত বিক্রয় করা হয়।

(৯) তাছাড়াও অভিযানে বিভিন্ন পণ্যের বিপুল পরিমাণ খালি মোড়ক, লেবেল, বোতল এবং জার জব্দ করা হয়। একইসাথে উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ২টি টিন সিলিং মেশিল ও একটি মিক্সার মেশিন জব্দ করা হয়।

ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার্থে র‌্যাবের এ ধরনের অনুমোদনহীন ভেজাল খাদ্যপন্য উৎপাদন প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।