শেরে-বাংলা নগর থানার ২৮নং ওয়ার্ডে কে হচ্ছেন সম্পাদক-সভাপতি

রাজধানী রাজনীতি

নিজাম উদ্দিন : বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জেলা থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট সম্মেলন হাওয়া লেগে গেছে সর্বত্র। আগামী দিনের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মাঠের নেতাদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালীভাবে নতুন করে সাজাতে চান নিয়ামত হোসেন রাজু। তিনি চান এ ওয়ার্ডটি বিএনপি/জামাত, হাইব্রিড ও চাঁদাবাজ মুক্ত করে নতুন একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে।
পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের দায়িত্বে আনার দাবি উঠেছে তৃনমূল নেতাদের। সে ক্ষেত্রে রাজধানী শেরে-বাংলা-নগর থানার ২৮ নং ওয়ার্ডে আগামী সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অথবা সভাপতি পদে সবার আগে যে নামটি শোনা যায় সেটি হচ্ছে নিয়ামত হোসেন রাজু। ২৮ নং ওয়ার্ডবাসীর অহংকার, তরুণ প্রজন্মের মধ্যমণি, পেট্রোল বোমা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজপথের প্রতিবাদী সৈনিক। গরীব-দুঃখী-মেহনতি জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু, চার জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক তরুণ নেতা নিয়ামত হোসেন রাজু।
কে পাচ্ছেন দলের এই ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদটি, তা কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিই ভালো জানেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এই ওয়ার্ডে রাজুর কোনো বিকল্প নেই বলে স্থানীয় রাজনীতিবীদরা জানান। হাজারও ত্যাগ স্বীকার ও সফলতা দেখিয়েছেন নিয়ামত হোসেন রাজু। দলের যেকোনো ক্লান্তি লগ্নে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন বলে জানান স্থানীয় রাজনীতিবীদগণ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান ২৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়াও একই ওয়ার্ডে ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একই ওয়ার্ডে আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ২০১৭ থেকে তিনি শেরে বাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
তার রাজনৈতিক জীবনে ২০০১ পরবর্তী সময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। ঐ সময়ে বেশ কয়েকবার নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০৭ সালে এক-এগারো সেনা শাষিত সরকারের সময়ে রাজপথে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন রাজু। তাই স্থানীয়দের দাবী নেয়ামত হোসেন রাজুই যোগ্য নেতা, তাকেই দরকার এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডটি পরিচালনা করার জন্য। আর তা না হলে এখন যেভাবে হাইব্রিড দিয়ে ওয়ার্ড টি দলাদলি করছে সামনে হয়তো দলীয়ভাবে আরো এর তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে ।
সরেজমিনে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাজ থেকে এবং এলাকার সাধারণ মানুষের নিকট থেকে জানা যায়, সৎ সাহসী ও মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবাই তাকেই ভালোবাসেন তিনি হচ্ছে রাজু। করোনা কালেও রাজুর ছিলো অসামান্য অবদান ও ব্যাপক ভুমিকা। মানুষের ঘরে ঘরে নিজ অর্থে খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এসব ব্যাপারে কথা হয় নিয়ামত হোসেন রাজু’র সাথে। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়েই আমার রাজনীতি করা। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেমন বাড়ির লোকজন থেকে শুরু করে সারাদেশের জনগণকে এক রকম চোখে দেখতেন। ঠিক তেমন করেই সকল তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতা কর্মীদের একই ভাবে দেখার চেষ্টা করাই মনে হয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো নির্দেশনা পালনে তৎপর ছিলাম এবং এখনো আছি ইনশাল্লাহ। তাই আমাকে যদি সাধারণ সম্পাদকের পদ অথবা সভাপতির পদে ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবশ্যই নগরের নেতাদের নির্দেশনা মেনে একটি কোন্দল বিহীন ওয়ার্ড উপহার দিতে পারবো বলে আমার আশা।
এই ওয়ার্ডটি নিয়ে একাধিক আওয়ামী নেতাকর্মীদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন এই ওয়ার্ডটি একক ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। দলীয়ভাবে অনেকেই সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে স্থানীয় নেতাদের দাবী। এ থেকে উত্তরনের পদ শুধু একটাই এই ওয়ার্ডটি ঢেলে সাজানো দরকার। আর তা না হলে এভাবেই কোনঠাসা হয়ে রাজনীতি করতে হবে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের। স্থানীয় নেতাদের দাবী আর তা না হলে, দিনে দিনে সুবিধা নিবে হাইব্রীড ও বিএনপি জামাতরা।
নিয়ামত হোসেন রাজু একজন শেরেবাংলা থানার আওয়ামী নেতা, কিন্তু কেনো ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিতে চান? এমন প্রশ্ন করলে নিয়ামত হোসেন রাজু তিনি আজকের দেশ নিউজকে বলেন, আমি শুধু ওয়ার্ডের নেতাদের কথা ভেবে হাইব্রীড হটিয়ে এই ওয়ার্ডটি বিএনপি জামায়েত মুক্ত করতে আওয়ামী লীগের একক একটি ওয়ার্ড গড়তে এবং স্থানীয় সুবিধা বঞ্চিত নেতাদের অনুরোধে এই ওয়ার্ডটি পরিচালনা করতে চাই।


বিজ্ঞাপন