লকডাউন মানছে না মোহাম্মদপুরে দোকানদাররা মগ্ন চোর পুলিশ খেলায়

রাজধানী

নিজাম উদ্দিন : করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরী কাজ ছাড়া বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ লকডাউন জারি করলেও তা মানছে না মোহাম্মদপুর এলাকায়। সরকারী ঘোষনার পর লকডাউন থাকলেও মোহাম্মদপুরে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। খুলে বসেছ দোকানপাট, চলছে রিকশা, অটোরিকশাসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন। মোহাম্মাদপুর তিন রাস্তায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে লোক বোঝাই করে লেগুনা ছেড়ে যাচ্ছে গাবতলির উদ্দেশ্যে। যা খুবই করোনা ঝুকিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে সচেতন সমাজের। আরো চোখে পড়ে জনসমাগমের কারণে কিছু সড়কে দেখা যায় যানজটেরও।


বিজ্ঞাপন

সোমবার সকাল থেকে মোহাম্মাদপুরে যেসব এলাকায় ছিলো মানুষের সমাগম এর মধ্যে টাউন হল, তিন রাস্তা মোর, আল্লাহ করিম মসজিদ, শিয়া মসজিদ মোড় এবং বেড়িবাঁধ এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে। লকডাউনের মধ্যে মোহাম্মদপুরে এমন চিত্র দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই ঘটনায় প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,তাহলে আর লকডাউন দিয়ে কি লাভ সরকারের?

লকডাউন চলছে তারপরও মানুষের জটলা। রিকশা-গাড়ি দিয়ে রাস্তায় যানজট, দোকানপাট বিভিন্ন অলিগলিতে খোলা ছিলো মোহাম্মদপুরে।
মোহাম্মাদপুরে থানা পুলিশের টহল গাড়ী দেখলে কেউ কেউ দোকানের ঝাপ একটু নামালে পরে আবার ঠিকই খুলে দিচ্ছে।

করোনার টিকা দেওয়ার পরও অনেকেই ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর কারণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে আছে সারাদেশে মূলত এজন্যই দ্বিতীয় লকডাউন দিয়েছে সরকার।

অন্য এক সূত্রে জানা যায়, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মানা হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল গত ২৫ মার্চ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হয়েছিল।

মোহাম্মাদপুরে লকডাউনেও খোলা ছিলো দোকানপাট, লকডাউনের সময়ও বিকাল চারটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে কিনা এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের দেশ নিউজকে বলেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার বিষয় নিশ্চিত করেন এ প্রতিবেদককে।

একদিকে লকডাউন অন্যদিকে দোকানপাট খোলা। এতে করে করোনা মহামারীর থেকে কতটা উপকৃত হবে জনগণ? এমন আশঙ্কায় সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা ও আতঙ্ক।