সালাউদ্দিন টিপু : আত্তাহিয়াতু আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া। এই দোয়াটার পিছনের গল্পটা জানার পর সত্যি আমার হৃদয়টা অনেক কোমল হয়ে গেছে।
আত্তাহিয়াতু আসলে, আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথনের একটা অংশ।
যা আমাদের মহানবী ইসরাউল মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছে মহান আল্লাহর সাথে।
মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করেন তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি।
তাহলে কি বলেছিলেন?
কারন আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না, আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক। কারন আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল।
মহানবী (সঃ)
আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেনঃ-
“আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু।”
অর্থঃ- “যাবতীয় সম্মান , যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।”
উত্তরে মহান আল্লাহ বলেনঃ-
“আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া- বারাকাতুহু।”
অর্থঃ- “হে নবী, আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক।”
এতে মহানবী বলেনঃ-
“আসসালা-মু আলায়না ওয়া আলা ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন।”
অর্থঃ- “আল্লাহর সমৃদ্ধি ও শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।”
মহান আল্লাহ এবং মহানবীর এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেনঃ- “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।”
অর্থঃ- “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে , আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।”
সুবহানাল্লাহ, এখন আমি এবং আপনি আত্তাহিয়াতু এর গুরুত্ব এবং পিছনের ইতিহাস জানতে পারলাম। এবার একটু চিন্তা করুন তো এই লেখাটি যদি আপনার মাধ্যমে অন্যান্য মানুষেরাও জানে তাহলে তারাও এই দোয়ার গুরুত্ব বুঝতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে বুঝবার তৌফিক দান করুক, আমিন।