আজকের দেশ রিপোর্ট : বাংলাদেশে হঠাৎ করেই আবার ও মাদক ফিরেছে আলোচনায়, এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুরিয়ার সার্ভিস এর অপ- তৎপরতা। টেকনাফসহ বিভিন্ন সীমান্ত থেকে নানা ধরনের মাদক আসা থেমে নেই, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
বরং এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোও। মাদকের এই নতুন বাহন নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন, র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক।
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে।
যাত্রীবাহী গাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও তল্লাশি বেড়ে যাওয়ায় ইয়াবা হিরোইন পাচারে ব্যবহার হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস।
সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান নারকেল উদ্ধার করা হয়। তার কয়েকটির মধ্যে নারকেলের উপাদান নয়, পাওয়া যায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ভয়ঙ্কর মাদক হেরোইন।
এছাড়া কসমেটিকস, কাপড়ের গাটসহ বিভিন্ন মালামালের আড়ালে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে অবৈধ পণ্য। কিছুদিন আগে কাঠালে এবং খেজুরের প্যাকেট থেকেও এই মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়।
মোটা অঙ্কের টাকার লোভে কুরিয়ার সার্ভিসের কিছু কর্মচারীও এই তৎপরতার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং পরিচালক বলেন, সম্প্রতি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমের পরিবহন করা ইয়াবা ও অবৈধ মালমালের একাধিক বড় চালান উদ্ধার করা হয়।
কোনো ধরনের অবৈধ মালামাল যাতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবহন না হয়, এজন্য নজরদারিও বাড়ানোর কথাও জানান তিনি ।