টেকনাফে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফে ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার,এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ জীম্বংখালী ব্রীজ নামক এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।


বিজ্ঞাপন

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে জীম্বংখালী বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় আগে থেকেই কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে ঘেরের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে।

আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকায় বিশেষ টহলদল বিআরএম-১৬ হতে আনুমানিক ৫০০ মিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে ২ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে ছোট একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে ঘেরের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের দেখা মাত্রই টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।

দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত ব্যাগটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী জীম্বংখালী গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ০১টি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৬০,০০,০০০/-(ষাট লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ২৪০০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।

তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।