প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা কর্মস্থলে ফিরলেন

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নাজেহাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রথম আলো সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা। হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করে মানসিকভাবে শক্তি অর্জন করতে বাসায় বিশ্রাম গ্রহণ করেন। তার দীর্ঘদিনের অবসর থাকাকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা ও তার কর্মস্থল প্রথম আলোয় ফিরে আসার বিষয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করেন।


বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ জুলাই) রাত ১০টায় প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ফেসবুক একটি পোষ্ট প্রকাশ করেন। যা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

তিনি লেখেন, ৫০ দিন পর আমার প্রিয় কর্মস্থল প্রথম আলোতে এসেছি। আমার প্রাণের সহকর্মীদের কাছে ফিরে এসেছি। আমি স্বস্তি বোধ করছি। আমার সহকর্মীদের ভালোবাসায় আমি আবেগ তাড়িত। আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দিত। আমি শান্তি বোধ করছি। কারণ আমি কাজে ফিরেছি।

নিজের কম্পিউটারের সামনে বসে প্রথমেই আপনাদের সবার মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ১৭ বছর ধরে যারা নানা তথ্য-সহযোগিতা দিয়ে আমাকে একজন সাংবাদিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন; সবাইকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করছি। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

দুঃসহ দিনগুলোতে আমি এবং আমার পরিবারের পাশে, আমার প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পাশে ছিলেন সারা দেশের সাংবাদিক সমাজ, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহকর্মীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, পাঠক, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তি-মানুষ যে সহমর্মিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি, আমরা অভিভূত, আপ্লুত, কৃতজ্ঞ। এই ঋণ শোধ হবার নয়।

জাতিসংঘ,দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা,দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও খ্যাতিমান সাংবাদিকদের উদ্বেগ, প্রতিক্রিয়া খারাপ সময় পার করতে আমাকে সাহস জুগিয়েছে।

আপনারা আমার ও প্রথম আলোর ভালোবাসা নিন।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রথম আলো সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা সেখানে সেসময় উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে নাজেহাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এ বিষয়টির কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপক সমালোচনা করেন।

এমনকি দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনসহ অনেকেই সাংবাদিক রোজিনার পক্ষে দাঁড়ান। পাশাপাশি, উক্ত ঘটনার বিচার চেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।