দুঃখিনী মাকে আইনি সহযোগিতা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাঁচটি বছর যাবত মায়ের ভরণপোষণ দেয় না বিবাহিত তিন ছেলে। মানবেতর জীবনযাপন মায়ের। দুঃখিনী মাকে আইনি সহযোগিতা প্রদান করে ডোমার থানা,পুলিশ।


বিজ্ঞাপন

গত (২৭ জুলাই/২০২১) তারিখ দুপুর ০২ ঘটিকায় ডোমার থানা, নীলফামারীতে হাজির হয়ে শ্রীমতি (ছদ্মনাম) কনিকা রানী বালা(৭০), (বিশেষ কারণে উক্ত নারীর ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে) তিনি নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্তব্যরত নারী অফিসারের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে তারা সকলেই বিবাহিত। ছেলেরা প্রত্যেককেই ১০ বিঘা সমপরিমাণ জমি পৈত্রিক সূত্রে ভাগ পেয়ে ভোগ দখল করে আসছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে দীর্ঘ পাঁচটি বছর তারা তাদের মায়ের দেখাশোনা ও ভরণপোষণ বাবদ কোন অর্থ দেননি। ফলে (ছদ্মনাম) শ্রীমতিঃ কনিকা রানী বালা(৭০), মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বিভিন্ন জনের কাছে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে একটি থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে সেখানে একাই বসবাস করছেন।

ঘটনার সূত্রপাতঃ সম্প্রতি তিনি তাঁর স্বামীর লাগানো কাঁঠাল গাছ থেকে কাঁঠাল পড়তে গিয়ে তৃতীয় ছেলে ও তার স্ত্রী এবং দ্বিতীয় ছেলে তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্চিত করে।

পরিস্থিতি এমন যে, তার স্বামীর বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন সময়ে তাকে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিঃ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দের তারা কোন ধরনের কর্ণপাত করে না। ফলে স্থানীয়ভাবে উক্ত ঘটনার কোনো সমাধান হয়নি। (ছদ্মনাম) শ্রীমতিঃ কনিকা রানী বালা(৭০), বলেন যে তার তিন ছেলে তাকে তিন বেলা খাওয়া ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিলে তার কোন অভিযোগ থাকবে না।

বিষয়টি কর্তব্যরত নারী অফিসার মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে অফিসার ইনচার্জ, ডোমার থানা, নীলফামারীতে অবহিত করেন। অফিসার ইনচার্জ, দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তব্যরত নারী অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

পরবর্তীতে ডোমার থানায় কর্মরত এসআই ঠাকুরদাস রায় কে উক্ত ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন।

এক পর্যায়ে তার তিন ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং তার তিন ছেলে অঙ্গীকার করেন যে তাদের গর্ভধারিণী মাতা
(ছদ্মনাম) শ্রীমতিঃ কনিকা রানী বালা(৭০),এর ভরণপোষণ বাবদ প্রত্যেককেই ১২০০ টাকা করে মোট ৩৬০০ টাকা প্রদান করবেন।

উক্ত টাকা তাদের মাতা (ছদ্মনাম) শ্রীমতিঃ কনিকা রানী বালা(৭০), নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করবেন। এবং আরো অঙ্গীকার করেন যে তাদের স্ত্রী সন্তানাদি তার সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করবে না। যদি কোন ধরনের খারাপ আচরণ ঘটে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডোমার থানা,নীলফামারী পুলিশ।