পরীমনি আটক হওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রথম স্বামী সৌরভ

অপরাধ বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : পরীমনি আটক হওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রথম স্বামী ফেরদৌস কবির সৌরভ, বেখেয়ালি জীবনযাপনের জন্য একদিন এমন পরিণতি হবে পরীমনির এটা সবসময় মনে করতেন নায়িকার ‘প্রথম স্বামী’ বলে পরিচিত কেশবপুরের ফেরদৌস কবীর সৌরভ।


বিজ্ঞাপন

তিনি মিডিয়ায় আসার আগে পরীকে সাবধান করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান।


বিজ্ঞাপন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি বুধবার র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে।

এমন সময় স্ত্রী পরীমনিকে নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন সৌরভ। তার দাবি, পরীমনির একাধিক বিয়ে হলেও তাদের তালাক হয়নি এখনো।

ফেরদৌস কবীর সৌরভ কেশবপুর পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর শাহানা কবির ফতেমার ছোট ছেলে। দুই বছর প্রেমের পর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে বিয়ে করেন তিনি।

ওই সময় পরী ছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্রী। সৌরভ ওই বছর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে ঢাকার বিজেএমসি ক্লাবে ফুটবল খেলার ডাক পান।

তখন স্ত্রী স্মৃতিকে নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে মিরপুরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করেন।

সেখানে থাকার এক পর্যায়ে মিডিয়ায় জড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন স্মৃতি।

তাদের মধ্যে পরিচয়ের একপর্যায়ে তার বিভিন্ন স্টাইলের ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপে তাকে মডেল ও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি।

এরপর শামসুন্নাহার স্মৃতি নাম পাল্টে নানির ‘পরীবানু’ থেকে পরীর সঙ্গে মনি যোগ করে পরীমনি করেন তিনি।

সৌরভ গণমাধ্যমে বলেন, পত্রিকায় ছবি ছাপার কিছুদিনের মধ্যে উশৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করেন পরীমনি। যে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে সৌরভের।

একদিন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমনি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পারেন সৌরভ। এরপর ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে আসেন তিনি।

কেশবপুরে এসে ফুটবল ছেড়ে হাতে তুলে নেন গিটার। এক সময় তিনি পরিচিতি পান শিল্পী সৌরভ কবির হিসেবে।

তার বন্ধুরা তাকে টেনে নেন আওয়ামী রাজনীতিতে। বর্তমান পৌরসভার ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার।

সৌরভ আরও জানান, মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর পরীমনি সৌরভকে তাদের কেশবপুরের বহুতল বাড়িটি বিক্রি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য উৎসাহিত করেন। ওই সময় সৌরভ ঢাকায় বিজিএমসি ফুটবল টিমের খেলোয়াড়।

এক পর্যায়ে তারা কেশবপুরের বাড়িটি বিক্রি করে দেন। ওই সময় পরীমনির উশৃঙ্খল চলাফেরা শুরুর কারণে তারা ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এটা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।

এরই মধ্যে স্মৃতি পরীমনি হয়ে মিডিয়া জগতে পরিচিতি পেয়ে যান। ফলে ২০১৫ সালে সৌরভ কেশবপুরে ফিরে আসেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পরীমনির সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়।