স্পোর্টস রিপোর্টার : বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা চার ম্যাচেই বাজেভাবে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এমন পরিসংখ্যান মোটেও পাত্তা পেলো না পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। টানা তিন ম্যাচে দাপট দেখিয়ে প্রথমবারের মতো অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ১০ রানে। তাতে দুই ম্যাচ (৩-০) হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
১২৮ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকে মনে হয়নি অজিরা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েড ফিরে গেলে প্রতিবন্ধক হয়ে ছিলেন কেবল মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। দুজনে মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন অস্ট্রেলিয়াকে। ৬৩ রান আসে এই জুটিতে। ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে এই জুটি ভেঙেছেন সাকিব। অজি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৩৫ রানে। নতুন নামা ময়সেস হেনরিকস অবশ্য তিন বলই টিকতে পারেন। তাকে শামীমের তালুবন্দি করান শরিফুল।
ততক্ষণে মূল প্রতিবন্ধক মিচেল মার্শকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। তাতে সফলতাও আসে ১৭.১ ওভারে। তাকে নাঈমের তালুবন্দি করেন শরিফুল। তাতে ৪৭ বলে ৫১ রানে ফিরে যান মার্শ। আদতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যায় তখনই। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) ও ড্যান ক্রিস্টিয়ান মিলে (৭) রানের ব্যবধানই কমান মাত্র। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে করতে পারে ১১৭ রান। ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন শরিফুল। ১৯ রানে একটি নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও ২২ রানে সাকিব আল হাসান।
এর আগে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে সংগ্রহ করে ১২৭ রান। বৃষ্টির হানায় ম্যাচ শুরু হয় সোয়া এক ঘণ্টার পর। শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানরা অবশ্য এর যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি। পরে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ৪৪ রান, আফিফ-মাহমুদউল্লাহর ২৯ রান ও শেষভাগে মেহেদী-মাহমুদউল্লাহর ৩০ রানের জুটিই সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড পেতে সহায়তা করেছে।
ধীর গতির পিচে মূলত একপ্রান্ত আগলে রান যোগানের চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। ১৪ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
৫৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান শেষ দিকে। এলিসের বলে ফিরে যাওয়ার আগে তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার। অবশ্য এই অভিষিক্ত এলিসই এর পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক! পর পর ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসানকে। তাতে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ।
৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার নাথান এলিস। দুটি করে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।