গত কয়েক বছরে দেশে আশংকাজনক হারে জ্ঞানীর সংখ্যা বেড়েছে : চঞ্চল চৌধুরী

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : যে কোন ইস্যুতে ঘরে বাইরে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,সকল ক্ষেত্রে জ্ঞানী গিজ গিজ করে….সবাই সব বোঝে….
যে কোন বিষয়ে হুট হাট জ্ঞান দিয়ে বসাটা একটা দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে ।
কোথায় জ্ঞান দিচ্ছে,কাকে জ্ঞান দিচ্ছে,কি বিষয়ে জ্ঞান দিচ্ছে…এই বিবেচনা শক্তি টুকুও অধিকাংশেরই নেই,কিন্তু সর্বক্ষন,সর্বত্র জ্ঞান দানে সকলেই সিদ্ধ হস্ত।
সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ,এত সংখ্যক জ্ঞানীর উৎপত্তির কারনটা জানতে, আমার খুব ইচ্ছে হয়।


বিজ্ঞাপন

আপনি এটা করলেন কেন?
আপনার তো ওটা করা উচিত হয়নি, আপনার কাছ থেকে এটা আশা করি না, আপনার এটা করা উচিত, আপনি অমুক ইস্যু নিয়ে স্ট্যাটাস দিলেন না কেন, আপনার কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়াটা উচিত হয়নি” বাপরে বাপ। সবাই উচিত অনুচিত শিক্ষা আর জ্ঞান দেবার পাইকারী দোকান খুলে বসে আছে! এখানে ২৪ ঘন্টা বিনা মূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে জ্ঞান বিতরন করা হয়। যারা নিজেকে সবজান্তা শমসের মনে করেন,তাঁদের উদ্দ্যেশে বলছি।

অন্য কাউকে জ্ঞান দেবার আগে,ঐ বিষয়ে নিজের কতটুকু জ্ঞান বা যোগ্যতা আছে,সেটা যাচাই করে নিন। নিজের চরকায় তেল দিন। বিনা মূল্যে জ্ঞান বিতরনের পাইকারী দোকানের ঝাপটা বন্ধ করেন।
আমার কথা গুলোর সত্যতা মেলাতে পারেন ফেসবুকে প্রবেশ করলেই ধর্ম নিয়ে জ্ঞান,শিল্প সাহিত্য নিয়ে জ্ঞান,রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান সকল বিষয়ে শুধু জ্ঞান আর জ্ঞান। মোট কথা সর্ব বিষয়ে পারদর্শী জ্ঞানীরা ভাইরাসের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ছেয়ে ফেলেছে। আপনি যদি প্রকৃত অর্থেই নিজেকে জ্ঞানী মনে করেন,সেই জ্ঞান,নিজের উপরই প্রয়োগ করে সুস্থ্য থাকুন,সুন্দর থাকুন। অন্যের জ্ঞানের প্রতিও যৎ সামান্য আস্থা রাখুন। সব কিছুর আগে নিজের যোগ্যতাটা বিচার করতে শিখুন।