আজ জাতীয় শোক দিবস

জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি আজকের দেশ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা

আমিনুর রহমান বাদশা : “অতঃপর গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন অমর-কবিতাখানি, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের”। কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতাটি আজকে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে অঙ্কিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছেন।

স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা।

তবে, এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আজকের দেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর পরিবারের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।

ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেননি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। ঘাতকদের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যা করা। কিন্তু, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তার দু’কন্যা প্রাণে বেঁচে যান।

দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ বাংলাদেশের সকল মানুষ এ অবিসংবাদিত নেতার জন্য অঝোর ধারায় কাঁদছেন।

কান্নার রোল প্রবাহিত হচ্ছে বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরে। এ নির্মম হত্যাকান্ড বাঙালি জাতির জন্য অভিশাপ ও কলন্ক। এ ক্ষতি কখনো বাঙালি জাতি পূরণ করতে পারবেনা।