শার্শার হাতেম সরদার হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার, মূল রহস্য উদঘাটন

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট বেলা অনুমান ১২ টার সময় বাদীনি মোছাঃ আসমা খাতুন এর বড় ভাসুর মোঃ জহুর আলী সরদার এর সহিত আসামীদ্বয়ের রাস্তা দিয়ে চলাচলের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।


বিজ্ঞাপন

১৩ আগস্ট বাদিনীর স্বামী ভিকটিম হাতেম আলী সরদার (৩৪) জুম্মার নামাজ পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়িতে বিশ্রামে থাকা কালে একই তারিখ বিকাল অনুমান ৩ টার সময় (১) মোঃ বাবলু সরদার (৩২), (২) মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার(৩৫)
দ্বয় বাড়ির চলাচলের রাস্তার বিষয়ে আলোচনার কথা বলিয়া বাদিনীর স্বামীকে রাস্তায় ডেকে নিয়ে যায় এবং বাদিনীর স্বামী সরল বিশ্বাসে তাদের কথা মত রাস্তার বিষয়টি আপোষ-মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে শার্শা থানাধীন লাউতাড়া গ্রামস্থ বাদিনীর বসত ঘরের পশ্চিম পার্শ্বে আসামীদের বসত বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই বিকাল অনুমান সাড়ে ৩ টায় আসামীদ্বয় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদিনীর স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং আসামীর হাতে থাকা বাঁশের ভারী লাঠি দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে উক্ত আঘাত বাদীনির স্বামীর মাথার বাম পার্শ্বে লাগিয়া মারাত্মক গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ২নং আসামীর হাতে থাকা লাঠিদ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে।


বিজ্ঞাপন

তখন বাদিনীর স্বামীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় সাক্ষীগণ এগিয়ে আসলে আসামীদ্বয় ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অত্র মামলার ভিকটিমকে প্রথমে যশোর সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে ভিকটিম চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৫ আগস্ট দুপুর অনুমান ১ সময় বাদিনীর স্বামী মৃত্যুবরন করেন। এ সংক্রান্ত শার্শা থানার মামলা দায়ের করা হয় যার নং-০৬, তাং-১৫/০৮/২১ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ড বিধি।

পুলিশ সুপার যশোর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করেন।

অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা রুপন কুমার সরকার, পিপিএম মামলাটির তদন্তভার এসআই (নিঃ) মোঃ সোলাইমান আক্কাস এর উপর ন্যাস্ত করেন।

এরপর যশোরের পুলিশ সুপার এর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি (পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম দ্বয়ের তত্ত্বাবধানে রুপণ কুমার সরকার, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সোলাইমান আক্কাস, এসআই মোঃ শামীম হোসেনদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটা চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদ্বয়ের অবস্থান সনাক্তপূর্বক বৃহস্পতিবার ১৯ আগস্ট ভোর রাত ২ টা ৩০ মিনিটে অভিযান পরিচালনা করিয়া যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন বলরামপুর গ্রামস্থ মোঃ আজগর আলী সরদার এর বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সহিত প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত আসামী (১) মোঃ বাবলু সরদার (৩২), (২) মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার (৩৫) দ্বয়কে গ্রেফতার করেন এবং তাদের হেফাজত হতে ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করেন।

আসামী ও মামলার ভিকটিম মৃত হাতেম আলী পরস্পর আত্মীয়-স্বজন। পূর্ব হতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে মর্মে আসামীদ্বয় স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মোঃ বাবলু সরদার (৩২), মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার (৩৫), উভয় পিতামৃত- মশিয়ার সরদার, সাং- লাউতাড়া, থানা-শার্শা, জেলা-যশোর। জব্দকৃত আলামতঃ
(১) মোবাইল ফোন-০২ টি। উল্লেখিত আসামির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে যশোর জেলা পুলিশের একটি সুত্রের দাবি।