মসজিদ নির্মাণের সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারের মানববন্ধন
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকায় বোনের ভাগের জমির ভুয়া দলিল সৃজনের অভিযোগ তুলেছেন রহিমা খাতুন ও গুলোর নুর দুই নারী । বিরোধীয় জমিতে অন্যত্রে বিক্রি করে নতুন কৌশলে জবর দখল করার জন্য মসজিদ নির্মাণের সাইনবোর্ড স্থাপন ও দক্ষিণাংশে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় ব্যানার হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ভেন্ডি বাজারস্থ পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকার মৃত মৌলভী মফজলর রহমানের কন্যা রহিমা খাতুন (৭০), স্বামীর সংসারে বসবাস করেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্কম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড রেফারফাড়ী বাজার এলাকায় পিতার মৃত্যুর পরে পত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ভাগের জমি গুলো জমা রাখেন আপন ভাই বাদশা মিয়া (৬৭), এর কাছে । গত ১১ ফেব্রুয়ারী পিতার বাড়িতে গিয়ে রহিমা খাতুন প্রয়োজনে পৈতৃক প্রাপ্ত অংশের জমি ভাই বাদশা মিয়ার কাছে বিক্রি করতে প্রস্তাব দিলে উক্ত জমি বাদশা মিয়াকে আগে বিক্রি করেছে বলে দাবী করে রহিমা খাতুনকে নিরাশ করে।
রহিমা খাতুন পরদিন কক্সবাজার রেকর্ড রুমে গিয়ে দলিল তল্লাশি করে দেখেছেন তার নামে বিক্রি করা ৪২২২ নং একটি দলিল আছে ।
দলিলটির ছায়াকপি উত্তোলন করে হতভম্ব হয়ে পড়েন, পরে রহিমা খাতুন নিরুপায় হয়ে ভুয়া দলিল সৃজনের অভিযোগ তুলে ভাই বাদশা মিয়া, মোঃ আবুল কাশেম, আবুল হোছাইনসহ ৩ জনকে বিবাদী করে গত ৭ মার্চ চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত করে।
উক্ত বিষয়ে আদালত আমলে নিয়ে সিআর-৩৪৫/২০২১ ইং তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিআইডির কাছে নির্দেশ প্রদান করেন ।
পত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত চিহ্নিত অংশের জমিতে বর্তমানে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাদশামিয়া গং জবরদখল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী রহিমা খাতুন। তিনি আরো বলেন আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া আগে অন্যত্র জমি বিক্রি করে দিয়ে জবর দখল করার জন্য দক্ষিণাংশে স্থাপনা নির্মাণ ও নতুন কৌশল বেছে নিয়ে মসজিদ নির্মাণের কথা বলে দুটি স্থানের সাইন বোর্ড স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাদশা মিয়া বলেন অন্যজন থেকে ক্রয় করা জমির অন্যত্রে বিক্রি করেছে, বোনের জমি বিক্রি করিনি, রহিমা খাতুনের দাবীকৃত জমির বিষয় নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। উল্লেখিত স্থানে কোন প্রকার জমি নেই এবং প্রাপ্ত অংশ পূর্বে বিক্রি করে দিয়ে বেশি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বলে দাবী করেন বাদশা মিয়া।