আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি-সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে আলোচনা সভা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ”পিস” প্রকল্পের আওতায় ”আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উগ্রবাদ প্রতিহতকরণ” শীর্ষক প্যানেল আলোচনা গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সিলেটের বাদাঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও জনগনের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত পুলিশের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলো কমিউনিটি পুলিশিং। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উগ্রবাদ প্রতিহতকরণে বিভিন্ন দিক এবং উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশিং এর ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এর প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হামিদুল হকের পরিচালনায় প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এসএমপির সহকারী কমিশনার মোঃ সাহিদুর রহমান। প্যানেলিষ্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম সিলেটের সেক্রেটারি স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ, ইসলাসিক ফাউনডেশন সিলেটের ফিল্ড সুপারভাইজার সৈয়দ ফকরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজির উদ্দিন, টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ আহমদ। আলোচনায় সিপিএফ সদস্য, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী সহ মোট ৬১ জন অংশগ্রহণ করেন।

উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়ার পক্ষে পিস প্রকল্পের সমন্বয়কারী এবং কর্মশালার সঞ্চালক সুদীপ্ত চৌধুরী প্যানেল আলোচনার উদ্দেশ্য বর্ণনা এবং পিস প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দ্যশ্য বর্ণনা করেন।

অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়নে সার্বিক দ্বায়িত্ব পালন করেন প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি কর্মকর্তা রোজিনা চেীধুরী, এবং পিস- প্রকল্প আইডিয়ার উপজেলা ফেসিলিটেটর শৈলেন্দ্র দেবনাথ।

দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত পিস” প্রকল্পটি সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ০৮ টি থানায় ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে মোট ১০০ টি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মাধ্যমে কার্যকরভাবে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।