টেকনাফে ৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১,৫০,০০,০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১২ হতে আনুমানিক ৪০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে চৌধুরীপাড়া স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ স্লুইচ গেইট ও বেড়ী বাঁধের আড় নিয়ে গোপনে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।

আনুমানিক ৪ টার সময় টহলদল ২ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে চৌধুরীপাড়া স্লুইচ গেইটের দিকে ১টি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আসতে দেখে।

টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।

দুষ্কৃতিকারীগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত ব্যাগ ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কেওড়া জঙ্গলের আড় ব্যবহার করে ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি ব্যাগ উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতর হতে ১,৫০,০০,০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।

ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ৬ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।

তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।