শরীয়তপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোরচক্রের ৭সদস্য গ্রেফতার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের কর্মতৎপরতায় চুরির মালামাল উদ্ধারপূর্বক চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার সম্পর্কে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), শরীয়তপুর তানভীর হায়দার।


বিজ্ঞাপন

শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান-এর নির্দেশনায় পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পালং মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক এস. এম. আতিক উল্লাহ ও আংগারিয়া ফাড়ি ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে শরীয়তপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ও অন‍্যান‍্য ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় চোরচক্রের ৭ জন আসামীকে গত বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়।

আসামীরা হলো-১. মো: আবুল কালাম(৪০), ২. শহিদুল হাওলাদার(৩৮), ৩. সঞ্জয় হালদার(৫২), ৪. হেমায়েত মাদবর প্রকাশ শেষ(৪৪), ৫. গিয়াউদ্দিন হাওলাদার(৪১), ৬. বাচ্চু খান(৪১) ও ৭. শাওন মুন্সি(৩২)। তাদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানাধীন কাশাভোগ আংগারিয়া কাপড়পট্রি সাকিনস্থ মোঃ লিটন মাদবর নামে এক ব‍্যক্তি তার বসতঘর হতে গত ১৬ জুন ২০২১ বিকাল অনুমান ৩টায় নগদ ৪০,০০০/- টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, যাহার আনুমানিক মূল‍্য ৬,৫০,০০০/- টাকা চুরির দায়ে বাদী পালং মডেল থানায় ২১ জুন ২০২১ ধারা ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড অনুযায়ী একটি অজ্ঞাত নামা মামলা রুজু করা হয়। যাহার মামলা নং-২২।

এরপর পরবর্তীতে গত ২৩ আগস্ট দুপুর অনুমান আড়াই টার সময় পালং মডেল থানাধীন পশ্চিম চরসর্দি সাকিনস্থ বাদীর বসতবাড়িতে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র মেইন দরজার আংটা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আলমারিতে রক্ষিত নগদ ২,৮৫,০০০/- টাকা, আলমারির ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ১,৩০,০০০/- টাকা, ২০ ভরি ০৪ আনা স্বর্ণ, যাহার আনুমানিক মূল‍্য ১৩,১৬,২৫০/- টাকা চুরি হয়ে যায়। এই সংক্রান্তে পালং মডেল থানায় গত ৩১ আগস্ট পেনাল কোড ৪৫৪/৩৮০ অনুযায়ী একটি অজ্ঞাতনামা মামলা রুজু করা হয়।

যার মামলা নং-২৫। উক্ত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের শনাক্ত করার জন‍্য ভিডিও ফুটেজ ও উন্নত তথ‍্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অভিযানকারী ফোর্সদ্বয় আংগারিয়া মনোহর মোড় হতে গত বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথমে মো: আবুল কালাম(৪০), শহিদুল হাওলাদার(৩৮) ও সঞ্জয় হালদার(৫২)কে গ্রেফতার করা হয়।

পরে উক্ত ৩ (তিন) জনকে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের অন‍্যান‍্য সদস‍্য হেমায়েত মাদবর প্রকাশ(৪৪), গিয়াউদ্দিন হাওলাদার(৪১), বাচ্চু খান(৪১)কে মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

তাদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যের ভিত্তিতে সর্বশেষে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়কারী শাওন মুন্সীকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

অভিযান করাকালীন সময় আসামীদের থেকে চোরাই মাল বিক্রির নগদ ২,৬৩,৯০০/- টাকা, ০১টি স্বর্ণের চেইন, ০১ জোড়া কানের দুল, ০১টি আংটি, ০১টি তালা কাটার হোট কাটার, ০২টি স্ক্রু ড্রাইভার, ০১টি প্লাস, ০২টি রেইঞ্জ, ০১টি কোনা বাডী(আলমারী ভাঙ্গার বিশেষ লোহা) উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত আসামীরা দীর্ঘদিন শরীয়তপুর ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে দিনের বেলায় তারা বিভিন্ন ঘরবাড়িতে গিয়ে ঘর তালা দেয়া কিনা এবং উক্ত ঘরে কোন মানুষ আছে কিনা? তার সংবাদ চোরচক্রকে জানালে তারা দ্রুত বসতবাড়ীর আশেপাশে অবস্থান নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে চুরি স্থান ত‍্যাগ করে।

আসামীরা গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে তারা যে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস‍্য এটা স্বীকার করে এবং তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। গ্রেফতারকৃত ৭ (সাত) আসামীকে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।