নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০১ সালে বিএনপি জামাতের ভোট কারচুপির নির্বাচন, গনতন্ত্রহরণ, খুন, ধর্ষণ ও সীমাহীন দূর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতনের প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি জামাতের ভোট কারচুপির নির্বাচন, গণতন্ত্রহরণ, খুন, ধর্ষণ ও সীমাহীন দূর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতনের প্রতিবাদে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। তিনি বলেন ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি জামাত জোটের ভোট কারচুপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই সারাদেশে বিএনপি জামাত জোটের সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ঘর, বাড়ী, দোকান পাটে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। মায়ের সামনে, পিতার সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সরকার গঠন করে স্বাধীনতা বিরোধী, মানবতা বিরোধী অপরাধী নিজামী, মুজাহিদ গংদের গাড়ীতে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়ে জাতির সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে! আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণহারে মিথ্যা মামলা,হামলা ও অত্যাচার নির্যাতন করে! সেই ভয়াবহ নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আজকের এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। তিনি বলেন আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড। আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই এই বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি জামাতের আর কোন ঠাঁই হবে না।তাদের যেকোন অপতৎপরতা বাংলার মাটিতে প্রতিহত করা হবে। তাদের অপতৎপরতা রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় সজাগ আছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আমরা ভূলে যাইনি! বিএনপি, জামাত, জোট বাংলাদেশকে সীমাহীন দূর্নীতি, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে। তাদের অত্যাচার নির্যাতনে রেহাই পায়নি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ। সংখ্যালঘু নির্যাতন খুন, ধর্ষণ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। দূর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়ে বাংলাদেশের উপর কলংকের কালিমা লেপন করে। বাংলার গণমানুষের শেষ আশ্রয় জননেত্রী শেখ হাসিনা পরম মমতায় বাংলার মানুষকে আগলে রাখেন। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও জাতিকে রক্ষার জন্য সন্ত্রাস, দূর্নীতির বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়। বাংলার আবাল বৃদ্ধ বনিতা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে রক্ষা করে। আজ বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতির আলোকোজ্জ্বল সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি, জামাত, হেফাজতের যেকোন অপতৎপরতা রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সবসময় রাজপথে সক্রিয় আছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মজিবুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আজিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আলী আবরার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কোবাদ হোসেন, উপ – মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান সোহেল সহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।