অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ এগিয়ে গেছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করার কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার সকল পূজা কমিটির সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা জিডিপি ৫ভাগ ধরে রাখতে পেরেছি। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই তার জিডিপি ধরে রাখতে পারেনি। মাথাপিছু আয় ২২৭০ ডলার। রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুই ছুই। বাংলাদেশ এখন ঋণ দেয়; সেই পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন দেশে মঞ্জুরি দেয়। সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের হয়ে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করার জন্য।
সব ধর্মের মানুষ এখন সাহসিকতার সঙ্গে বসবাস করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে দেশকে বিভক্ত করতে চেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। যারা সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে আমাদের শাসন-শোষণ করতে চেয়েছিল, তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমাণিত করতে চেয়েছিল। তারা আমাদের গর্ব ও অহংকারের জায়গা মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছিল। আজকে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, অতীতে যেই ভয়-ভীতি নিয়ে দুর্গা পূজা উদযাপন হত, এখন সেই ভয়-ভীতি নেই। কারণ যারা ভয়-ভীতি দেখাত, এসব অপকর্ম করত, তাদেরকে আমরা নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসকে লালন-পালন করা হয়েছিল। যেভাবে শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইদের তৈরি করা হয়েছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন-পালন করা হয়েছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের লালন পালন করে সমাজ ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সামর্থ দেখিয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। সেজন্যই আজকে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সাহসিকতার সঙ্গে বসবাস করতে পারে। এ শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণেই বাংলাদেশ পৃথিবীর বিস্ময়কর অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল যেটা ২০১৫ সালের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল, আমরা ২০১৪ সালেই তা অর্জন করেছিলাম। আমাদের এসডিজি ২০৩০ সালে অর্জন করার কথা; কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। আমাদের অগ্রগতি সবচাইতে বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাকে সম্মানিত করা হয়েছে।
বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী এদিন উপজেলার ৯৪টি মন্ডপের প্রতিটিতে ১৫ হাজার টাকা, শাড়ি ও ধুতি উপহার দেন। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়। পরে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলায়ও অনুরূপ কর্মসূচিতে অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন