সৈয়দ রমজান হোসেন, নড়াইল : আসন্ন ১১ নভেম্বর ঘোষিত নড়াইল সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন ১১৩ জন নেতাকর্মী। এই সব নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ইতোমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে অফিস হতে সরবরাহকৃত ফরম জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন নারী প্রার্থীও রয়েছেন। এসব ইউনিয়নের শাহাবাদ ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ১৪ জন এবং মূলিয়া ইউনিয়নে সর্বনিম্ন ৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন, মাইজপাড়া ইউনিয়নে ৯ জন, হবখালী ইউনিয়নে ৭ জন, চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে ৫ জন, আউড়িয়া ইউনিয়নে ১২ জন, শাহাবাদ ইউনিয়নে ১৪ জন, তুলারামপুর ইউনিয়নে ১১ জন, শেখহাটি ইউনিয়নে ৭ জন, কলোড়া ইউনিয়নে ১১ জন, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নে ৭ জন, ভদ্রবিলা ইউনিয়নে ৮ জন, বাশগ্রাম ইউনিয়নে ১১ জন, বিছালী ইউনিয়নে ৭ জন ও মুলিয়া ইউনিয়নে ৪ জন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন কতৃক দ্বিতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণার পর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার নিদের্শনা দেন। জীবন বৃত্তান্ত জমাদানের শেষ দিন গত ৩ অক্টোবর। দুপুর পর্যন্ত ১৩টি ইউনিয়ন থেকে ১১২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন ১নং- মাইজপাড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, অমিত সাহা রাজা, জসিম মোল্লা, বিশ্বজিত ঘোষ, মারফত হোসেন, তোফায়েল আহম্মেদ যাদু, কামাল উদ্দীন সিদ্দীকী, তবিবর রহমান খান ও সন্দীপ মজুমদার।
২নং- হবখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যন রিয়াজুল ইসলাম চঞ্চল, টিপু সুলতান, বাদশা মোল্যা, মনিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, উজ্জল ও সুভাস সাহা ।
৩নং- চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভুঁইয়া, মাসুদুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ তারিকুল ইসলাম ও সৈয়দ খান জাহান আলী।
৪নং- আউড়িয়া ইউনিয়নে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম পলাশ, ওহিদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর সিকদার, আকছির আহমেদ ভূইয়া, মাসুদ সিকদার, রবিউল ইসলাম, হাসমত আলী, আকরাম হোসেন ভূইয়া, জামাল সিকদার, পলাশ মোল্যা, ভূইয়া নজরুল ইসলাম ও মহিদুর রহমান।
৫নং- শাহাবাদ ইউনিয়নে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না, সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, মোকারম হোসেন, খান আশরাফ মাহমুদ, মনিরুজ্জামান রোজ, নাহিদ মোল্যা, আনিচুর রহমান, তন্নী, হাবিবুর রহমান দুখু, মনির হোসাইন, আসাদুজ্জামান, আতাউর রহমান ও জিয়াউর রহমান।
৬নং- তুলারামপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, টিপু সুলতান, অ্যাড. শরিফুল ইসলাম মুকুল, তরফদার রেজাউল ইসলাম, আলী নেওয়াজ খান, মুকসুদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মোস্তফা কামাল স্বপন, আজমুজ্জামান আজু, বিপ্লব মোল্যা ও মহব্বত হোসেন।
৭নং- শেখহাটি ইউনিয়নে মলয় কুমার বিশ্বাস, গোলক বিশ্বাস, কুদ্দুস আলী ফকির, তাপস পাঠক, এম এ এম আরাফাত হোসেন, আবুল কাশেম ও আছিয়া বেগম।
৮নং- কলোড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যাান আব্বাস আলী সরদার, সাবেক চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান অশোক কুমার কুন্ডু, দেবাশীস কুন্ডু মিটুল, সুকান্ত মল্লিক, শাহরিয়ার আলম মুক্ত, যোবায়ের মোহাম্মদ, মিনা মাহামুদুল হাসান তাপস, জহুরুল হক, মহীতোষ বৈরাগী ও মিনা মরফিদুল হাসান।
৯নং- সিংগাশোলপুর ইউনিয়নে সাবেক খায়রুজ্জামান মোল্যা, অমিত কুমার বালা পিযুষ, সাইফুল ইসলাম হিটু, কাজী মুশফিকুর রহমান, রেজাউল হক, হোসেন আলী শেখ ও রাজীব হোসেন।
১০নং- ভদ্রবিলা ইউনিয়নে শিকদার তোফায়েল আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম লিয়াকত আলী, খায়রুজ্জামান ফকির, বাবুল মোল্যা, আল ইমাম সিকদার আলিম, হুমায়ুন কবীর শেখ, ওমর আলী ও সৈয়দ আবিদুল ইসলাম।
১১নং- বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউদ্দীন জুয়েল, কামরুজ্জামান কামাল, এফএম জাকির হোসেন, নাজমুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মফিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন উজ্জল, শরীফ মনিরুজ্জামান বুলু, বিএম শাহাজান ও গোলাম মোস্তফা।
১২নং- বিছালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজী, মশিয়ার রহমান, বাকিবুর রহমান, ইদ্রিস আলী শেখ, মাহাবুবুর রহমান ও খন্দকার মাশরুর বিল্লাহ, তবে ১২ নং বিছালী ইউনিয়ন এর জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম (আনিস) । আর এজন্যই গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শেখ আনিসুল ইসলাম আনিসকে অপহরণ ও তার মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের আনিসুল ইসলাম আনিস বিরোধীদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম আনিস কে দীর্ঘদিন যাবত স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেস কয়টি ভুয়া আইডি থেকে চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্নরকম রিউমার ছড়িয়ে আসছিল। এর মধ্যে এঞ্জেল কাজল ও আই সত্য কথা কই নামের দুটি ভুয়া আইডির আড়ালে থাকা কতিপয় ব্যক্তিরা।
এ ছাড়াও নড়াইলের মির্জাপুরের বিতর্কিত নীল ভিডিওর নায়কের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং এ বিষয়ে নড়াইলের আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকা সহ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ওই পর্নো ভিডিওর নায়কের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অতি অল্প সময়ের ব্যাবধানে ওই নীল ভিডিওর নায়কের রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার বিষয়ে ও এলাকাবাসী ভিন্ন চোখে দেখছে। তার বাবা একজন সামান্য কাঠমিস্ত্রি, দাদা একজন দিনমজুর তাহলে কথিত ওই বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও নীল ভিডিওর নায়কের রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার পেছনের রহস্য ই বা কি? সুত্র বলছে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শেখ আনিসুল ইসলাম আনিস কে অপহরণ ও তার মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পেছনে ও ওই নীল ভিডিওর নায়কের হাত থাকতে পারে বলে মির্জাপুরের এলাকাবাসী ধারণা করছে।অপর একটি সুত্রের দাবি সাবেক চেয়ারম্যান এবং মধুরাগাতি এলাকার বিএনপির হঠাৎ শিল্পপতির হাত থাকতে পারে।
১৩নং- মূলিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ অধিকারী, সাবেক চেয়ারম্যান বিপুল কুমার সিকদার, শ্যামল কুমার বিশ্বাস ও পল্লব কুমার মজুমদার।