সাংসদ চুমকির এপিএসের ‘দুর্নীতির’ অনুসন্ধানে দুদক

অপরাধ

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের এক সাংসদের এপিএস মাজেদুল ইসলাম ওরফে সেলিমের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।


বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে দুদক কার্যালয় থেকে গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১০টি দলিলের নকল চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

মাজেদুল ইসলাম ওরফে সেলিম গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস; কালীগঞ্জ উপজেলার দেত্তপাড়া গ্রামের প্রয়াত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।

দুদকের উপ-পরিচালক এসএম রাশেদুর রেজা স্বাক্ষরিত গত ১২ অগাস্টের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়ার মাজেদুল ইসলাম সেলিমের (বর্তমান ঠিকানা ঢাকার ৬১ সিদ্ধেশ্বরী লেন, ফ্ল্যাট নম্বর -২) বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে [স্বাক্ষরকারী] কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য মাজেদুল ইসলাম সেলিম, তার স্ত্রী রাহিমা বেগম, ভাই কামরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মামুনুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সাত জনের দশটি দলিলের নকল চাওয়া হয়েছে।

কালীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এই ১০টি দলিলের জাবেদা কপি/সার্টিফাইড কপি সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এ ব্যাপারে মাজেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “এলাকায় আমার রাজনৈতিক কিংবা পাবিারিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তাদের কেউ শত্রুতাবশত বেনামে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছে আমি নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক, শত শত বিঘা জমির মালিক।

“তারই প্রেক্ষিতে দুদক সম্পদের হিসাব চেয়ে থাকতে পারে। আমার পৈত্রিক বাড়ি কালীগঞ্জে এখানে আমাদের জমি রয়েছে। কোনো অবৈধ অর্থ-জমি নেই।”

কালীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার শাহিন রেজা এ বিষয়ে বলেন, “দুদকের চিঠি পাওয়ার পর কালীগঞ্জ ও গাজীপুরে তল্লাশি চালিয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উল্লেখিতদের নামে ২০টির মতো দলিল পাওয়া গেছে। সবগুলির কপি এ সপ্তাহের প্রথম দিকে দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এ ব্যাপারে জানতে সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকির মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি বিধায় তার কোন বক্তব্য প্রকাশিত হলো না ।