জীবনের পথচলায় সততা এবং নিষ্ঠা সবচেয়ে বড় উপাদান-ঢাদসিক মেয়র

রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : জীবনের পথচলায় সততা এবং নিষ্ঠা সবচেয়ে বড় উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশেনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনিয়োগ প্রাপ্ত ১৪ ও ১৬ তম গ্রেডের ৪৭ জন কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই মন্তব্য করেন।


বিজ্ঞাপন

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “অনেকের মেধা থাকে কিন্তু সেই অনুযায়ী তারা জীবন সংগ্রামে সফল হতে পারে না। জীবনে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো – নিষ্ঠা এবং অধ্যাবসায়।

আপনি অন্যের চাইতে কম মেধাবী হতে পারেন কিন্তু আপনার যদি সেই পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও আত্মনিয়োগ থাকে, অধ্যাবসায় থাকে – তাহলে আপনি সেই মেধাবী ব্যাক্তির চাইতেও অনেক বেশি সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। জীবনের পথচলায় সততা এবং নিষ্ঠা সবচেয়ে বড় উপাদান।”

ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “সততা-নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে কর্মজীবনে চড়াই-উৎরাই থাকলেও শেষমেশ সফলতা আপনাদেরই হবে, আপনাদেরই আসবে।

সবচেয়ে বড় শক্তি হলো – সততা, নিষ্ঠা এবং নিজের কাজটি জানা। আপনি যদি নিজের কাজটি শিখে নেন, জেনে নেন, তাহলে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বলেছেন – আমাদেরকে দাবায়ে রাখতে পারবে না – আপনাদেরকেও আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।”

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেদেরকে কর্মে নিয়োগের আহবান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “বাবা-মা প্রথমে স্বপ্ন দেখে যে তাদের সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। পরবর্তীতে স্বপ্ন দেখে — সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সন্তানেরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মজীবনে নিয়োজিত হবেন।

আপনারা আপনাদের পিতা-মাতার প্রথম স্বপ্ন পূরণ করেছেন এবং দ্বিতীয় স্বপ্ন পূরণের পর্যায়ে রয়েছেন। এই স্বপ্ন পূরণে বাবা-মার কিছু আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে, স্বপ্নের কিছু লালিত বৈশিষ্ট্য থাকে।

আমি মনে করি, আপনারা পিতা-মাতার সেই স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে এই কর্মজীবনের সুযোগে নিষ্ঠা এবং সততার সাথে নিজেদেরকে নিয়োজিত করবেন।”

সভাপতির বক্তব্যে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. মঞ্জুর হোসাইন বলেন, “আপনারা অনেক ভাগ্যবান। কারণ, আপনারা চাকুরিতে যোগদানের পূর্বেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

বাংলাদেশের কোনও সংস্থায় নবনিয়োগ প্রাপ্ত কোনো কর্মচারীদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মে যোগদানের পূর্বেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে — এমন বিরল নজির নেই। তাই আপনারা প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়ে জনগণকে সন্তুষ্টচিত্তে যথাযথ সেবা প্রদান করবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”

আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা’র উপ-পরিচালক সাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাদসিক সচিব আকরামুজ্জান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, মেয়রের প্রটোকল কর্মকর্তা মো. দাউদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মচারীদেরকে সনদ ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, ৪ ধরনের পদের বিপরীতে নবনিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারীদেরকে আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা’য় ‘অফিস ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি’ শীর্ষক ১২ দিনব্যাপী (২৫ সেপ্টেম্বর হতে আজ ৭ অক্টোবর পর্যন্ত) প্রশিক্ষণের আয়োজন করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

১৪ তম গ্রেডের রেভিনিউ সুপারভাইজার এবং লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজর পদে ৩৫ জন এবং ১৬তম গ্রেডে লেজার কিপার এবং রেন্ট এসিট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত ১২ জনকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আগামী রবিবারে নিয়োগ প্রাপ্ত এসব কর্মচারীদের পদায়ন করা হবে।