শিশুদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হতে হবে

রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শিশুদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হতে হবে।


বিজ্ঞাপন

গতকাল রবিবার ১০ অক্টোবর সকালে রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে “জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২১” এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিশ্ব শিশু দিবস-২০২১ এর নির্ধারিত প্রতিপাদ্য “শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ি” যা সময়োপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, তারাই আগামী দিনের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে, জ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সকলের জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিশুদের শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইন, নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিশু বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শীঘ্রই সুন্দর ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা, বাউন্ডারী ওয়াল ও নিরাপত্তাসহ ৮টি পার্ক শিশুদের জন্য খুলে দেয়া হবে। এগুলোতে পথশিশুরাও যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় খেলাধূলা করতে পারে সেব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১৪টি পার্কে প্রয়োজনীয় বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ শিশু কর্ণার করে দেয়া হচ্ছে।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই প্রতিমাসে কমপক্ষে ১ দিন শিশুদের খেলাধুলার জন্য ১টি রাস্তাকে গাড়ীমুক্ত রাখা হবে।

তিনি জে ব্লকে অবস্থিত মাঠটি যাতে দ্রুতই শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে শূন্য থেকে দুই বছর বয়সী সকল শিশুকে জন্মসনদের সাথে একটি করে গাছের চারা উপহার দেয়া হয়।

মোঃ আতিকুল ইসলাম প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদেরকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদানের দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সুস্থতার জন্যই সবাই মিলে “দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার” স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, “মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার” তাই বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, খাল,বিল, নদী, নালা দখলসহ নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তাই সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক সুরেশ বার্টলেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শবনম জাহান শীলা এমপি, নাহিদ ইজহার খান এমপি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান বক্তৃতা করেন।