নিজস্ব প্রতিনিধি : রবিবার ১০ অক্টোবর বেলা ১১ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বিএমপি’র এয়ারপোর্ট থানা চত্বরে আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন, পুলিশ কমিশনার বিএমপি মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে যথারীতি বিগত ওপেন হাউজ ডে তে আগত ভুক্তভোগী জনসাধারণের উত্থাপিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানকল্পে এয়ারপোর্ট থানা তথা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট অফিসারগনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সমস্যা সমাধান কল্পে কি কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সমস্যার কতটুকু সমাধান করেছে সেই সংক্রান্তে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে একটি জবাবদিহিতামূলক বিবরণী (মিউনিট) আগত সর্বসাধারণের সামনে পাঠ করে শোনানো হয়।
অতঃপর উপস্থিত ভুক্তভোগীগণ পুলিশ কমিশনারের নিকট নানান বিষয়ে তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশ কমিশনার তাদের উত্থাপিত সমস্যার সমাধান কল্পে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন, যার বাস্তবায়ন পরবর্তী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ওপেন হাউজ ডে তে আগত সর্বসাধারণের সামনে পর্যালোচনা করা হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, থানা হলো মূল সেবা কেন্দ্র, আমরা থানাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকায় ভাগ করে বিট অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, বিট পুলিশিং হলো একটি নির্ভেজাল সেবা মাধ্যম। সেবার মান আরও বাড়াতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং আরও জোরদার করতে হবে।
স্থানীয়দের কাছের মানুষ হয়ে, ঘরের পুলিশ হয়ে, জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে সমাজের যাবতীয় অপরাধ দানাবাঁধার আগে তা নিয়ন্ত্রণে করা বিট অফিসারের কাজ।
তিনি আরও বলেন, বিট অফিসার শুধুমাত্র একজন পুলিশ অফিসারই নন বরং তিনি তার বিট এলাকার একজন সামাজিক নেতা, প্রতিটি মানুষের অত্যন্ত আপনজন।
বিট অফিসাররা বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সামাজিক শক্তি ব্যবহার করে সমাজকে ভারসাম্যপূর্ণ করে সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে যেভাবে শান্তি স্থাপনে মানবিক ভূমিকা রাখছেন।
সমাজে যাঁরা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোরাঘুরি করে, সে সকল দুষ্ট লোকের কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এ যায়গা নেই; সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে এমন সুনাগরিকদের অংশগ্রহণে আমাদের এই কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম।
ওপেন হাউজ ডে প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং এর একটি বড় অংশ।
এখানে তিন ধরনের আবেদন গুরুত্ব সহকারে শুনে থাকি ; ভুক্তভোগীর কথা , সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ জনগণের গঠনমূলক পরামর্শ শুনি এমনকি আমাদের কোন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়ম রয়েছে কিনা তা সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
পুলিশ একা কোন কাজ করতে পারেনা, বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা সম্মিলিত উদ্যোগে একটি নিরাপদ সমাজ গড়তে ও সুফল পেতে নিজে ও অন্যকে এই প্রো-এক্টিভ পুলিশিং এ শরিক করার মাধ্যমে পুলিশ জনতা সম্পর্কের যায়গাটুকু বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নিরাপদ নগরী উপহার দেয়া সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্ মােহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোহাম্মদ জাকির হােসেন মজুমদার পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মােঃ ফারুক হােসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক/ফিন্যান্স) মােঃ খলিলুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ এয়ারপোর্ট থানা কমলেশ চন্দ্র হালদার,
,ইন্সপেক্টর অপারেশনসহ থানার সকল অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যবৃন্দ সহ থানা এলাকার সকল শ্রেণী পেশার লোকজন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী বৃন্দ।