নীলফামারী পুলিশের আইনি সহযোগিতা
নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার ৯ অক্টোবর ডোমার থানা,নীলফামারীতে এসে রাত্রি আনুমানিক ৮ টার সময় নারী,শিশু,বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্তব্যরত নারী অফিসারের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে (ছদ্মনাম) সহিদার রহমান (২৭) এর সহিত পারিবারিকভাবে ০৬ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয় এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো এতো দিন।
সম্প্রতি উক্ত নারীর সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো তারা।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার কোলের শিশু কন্যাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের কাছে রেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। (ছদ্মনাম) মোছাম্মদ রেবেকা সুলতানা (২২), কোনো উপায়ান্তর না দেখে তিনি তার বাবার বাড়ি চলে গেলে পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সন্তানকে নিজের কাছে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেন।
চেষ্টার পরেও তার সন্তানকে তিনি না পেয়ে জনগণের শেষ ভরসা স্থান বাংলাদেশ পুলিশ ডোমার থানা নীলফামারীতে এসে তিনি আইনি সহযোগিতা নেন।
উক্ত বিষয়টি ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ অবগত হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করার নিমিত্তে ডোমার থানা কর্মরত এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ লিটন হোসেন’কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে শিশুটিকে উদ্ধার পূর্বক তার মায়ের জিম্মায় প্রদান করে পুলিশ।