নিজস্ব প্রতিনিধি : ১২ অক্টোবর সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে আকস্মাৎ ভেঙে পড়ে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী প্রেসক্লাব ভবনটির সামনের অংশ। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান প্রেসক্লাবের সদস্য ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান।
জানা যায় দেশের দ্বিতীয় পুরাতন প্রেসক্লাব রাজশাহী প্রেসক্লাব। ১৯৫৩ সালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পরের বছরই ১৯৫৪ সালে এ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত। এ প্রেসক্লাবের ভবনটি রাজশাহী জোন গণপূর্ত বিভাগ-১ এর আওতাধীন। যেটি নির্মাণ করা হয় ১৯৪৫ সালে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই গণপূর্ত বিভাগের নিয়মকানুন মেনে সবকিছু পরিশোধ করা হয়।
কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। যে কারনে অনেকদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থেকে সবশেষ ভেঙে পড়ে ভবনটির সামনের অংশ।
ভেঙে পড়ার সময় ভবনের ভেতরেই ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান। ভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। পরে কোনোমতে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং সহকর্মীদের বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ প্রেসক্লাবে ছুটে আসেন সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, যুগ্ম সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলন, অন্যতম সদস্য আমানুল্লাহ আমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য মো. আনিসুজ্জামানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ সদস্যরা প্রেসক্লাব চত্বরে আসেন। এসময় তারা বিপজ্জনক চিহ্নিত করেন প্রেসক্লাব চত্বরকে।
এ বিষয়ে অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, প্রেসক্লাব অফিসের দুটি কক্ষ। একটি মিলনায়তন, যেটি ভেতরের দিকে। অপরটি অতিথি কক্ষ, যেটি বাইরের দিকে। কক্ষ দুটি ছাড়াও বারান্দা রয়েছে সামনের অংশে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রেসক্লাবের ভেতরেই থাকতাম। এদিন ভেতরের অংশে মিলনায়তন কক্ষে ছিলাম। সকালবেলা আকস্মাৎ জোরে শব্দ হয় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বারান্দার সামনে অংশটুকু।
এ ঘটনার পর রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবির ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ভবনটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা যায়।