বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদেরকে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেয়া হবে।
১৬ই অক্টোবর, শনিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত “পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে যথেষ্ঠ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি সকলকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সম্পর্কিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত ৬৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৪৮টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক ফিক্যাল স্লাজ প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে সুপরিকল্পিত একাধিক জলাধার প্রয়োজন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমিতে জলাধার রয়েছে আর বাকি ১৭০ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। তাই সবাই মিলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বক্তৃতা করেন।