জঙ্গিবাদ-স্বাধীনতাবিরোধীরা এক-অভিন্ন: শিক্ষামন্ত্রী

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১, ১৯৭৫, ২০০৪ ও ২০১৪ সালের ঘাতকরা কি এক ও অভিন্ন নয়? এই নাশকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতাবিরোধীরা এক ও অভিন্ন। সকল অপরাধীই তার একটা নমুনা রেখে যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই একই রকম চিহ্ন আমরা দেখি।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। এই দুষ্কৃতকারী চক্র একটা সময় বেছে নেয়। এই সময়টা তারা বেছে নিয়েছে কারণ, এখন ২০২১ সাল। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ আমাদের জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার যখন প্রথম দু-আড়াই বছর পার করে দেয় তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা। দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে আমাদের অনেক কিছুই করার আছে।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কোনও ভিত্তি নেই। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারা এখন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি দাবি করছে দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে তারা গণমাধ্যমে কথা বলার এত সময় পায় কী করে? সরকারি দলের নেতৃবৃন্দকে টেলিভশনে যতটা দেখা যায় তাদেরকেও তেমন বা তার চেয়ে বেশি দেখা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে মিশিয়ে দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে আবার সেই পাকিস্তানি আদলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান। যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, যুদ্ধাপরাধী ছিল, তারা আবার সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিষ্ঠিত হলো।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন