পায়রা সেতুর উদ্বোধন রোববার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রোববার দক্ষিণাঞ্চলবাসির স্বপ্নের লেবুখালী পায়রা সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ইসমাত মাহমুদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আদেশ পত্রের ইমেইল বার্তাটি সেতু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছেছে। ওই মেইলে জানানো হয়, আজ রোববার সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করবেন। এর পরপরই যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে পায়রা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের টোল প্লাজায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, বিভাগীয়, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনে কাজ করছে।
পায়রা সেতুর প্রকল্পপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম জানান, লেবুখালী পায়রা সেতুতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য পুরো সেতু সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এ সেতুর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, যেকোনও দুর্ঘটনায় এটি সিগন্যাল দেবে। দেশে প্রথমবারের মতো পায়রা সেতুতে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রটেকশন সিস্টেম। এর ফলে যেকোনও ধরনের ওভার লোডেড (মাত্রাতিরিক্ত ভারী) যান সেতুতে উঠলে সাথে সাথে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম থেকে সিগন্যাল পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও জানান, একইভাবে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ও বজ্রপাতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ; যেগুলোতে সেতুর ক্ষতি হতে পারে এ ধরনের আশঙ্কা থাকলেও সিস্টেম সিগন্যাল দেবে। একইসঙ্গে কোনো কিছুর ধাক্কা থেকে রক্ষায় পিলারের চারপাশে নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এতে সেতুর স্থায়িত্ব বাড়বে।
উল্লেখ্য, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ২৭কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর‘ প্রায় ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের লেবুখালী পায়রা সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে উপকূলের ৫০লাখ মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে।
সেতুর প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। ব্রিজটি যানচলাচলে উম্মুক্ত হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।