নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজাম-পে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে পেছন থেকে কারা ইন্ধন জুগিয়েছেন, কক্সবাজার যেতে কারা পরামর্শ দিয়েছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরালে কাদের হাত রয়েছে এসব বিষয় ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ইকবালসহ বর্তমানে চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চলছে।
সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ানের নেতৃত্বে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে সহযোগিতা করছে সিআইডির একটি স্পেশাল টিম। জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল নতুন তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ মামলায় আসামিরা হলেন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
বুধবার দুপুরে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, গত ২৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের স্বার্থে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার সব ডকুমেন্ট আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলায় ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ইকবালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তা যাচাই-বাচাই করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। সব তথ্য সমান গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা যাচ্ছে না। মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হচ্ছে ম-প থেকে পুলিশের উদ্ধার করা পবিত্র কোরআন। ওই কোরআন শরিফে অনেকেরই ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকায় আমরা (সিআইডি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এতে সুনির্দিষ্ট কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাইনি। তবে ইকবালের কাঁধে থাকা হনুমানের গদা উদ্ধারের পর ইকবালের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে।
রিমান্ড শেষ লিখিতভাবে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।