বিনোদনের সঙ্গে সমাজের জন্য বার্তা দেওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানে বিনোদনের পাশাপাশি সমাজের জন্য যাতে বার্তা থাকে তার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষিতদের নির্মিত চলচ্চিত্র এবং টিভি অনুষ্ঠান আনন্দের পাশাপাশি সমাজের জন্য বার্তা দেবে, সমাজকে এগিয়ে নিতে রাখবে ভূমিকা।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান সমাজে খ্যাতি এবং অর্থের পেছনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা থেকে নতুন প্রজন্মকে বেরিয়ে আসতে পথ দেখাতে পারে।

চলচ্চিত্রশিল্পে নতুন জীবনদানের কাজ চলছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জনগণের রায়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। এরপর তার হাতেই যাত্রা শুরু বেসরকারি টেলিভিশনের। এখন ৪৫টি বেসরকারি টিভি, সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের জন্য বিসিটিআই প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিটিআইয়ের প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিতদের চলচ্চিত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে। গুণমান বিবেচনায় তারা অনুদানও পেয়েছে মন্ত্রণালয়ের।

বিসিটিআইয়ের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ জন্য এখানে মাস্টার্স ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিসিটিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিসিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, একাডেমিক কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, কোর্স পরিচালক ম. হামিদ এবং বিসিটিআই প্রাক্তন সংসদ সভাপতি মাহবুব হোসেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান মমতা হেনা লাভলী, চলচ্চিত্রকার গাজী রাকায়েত, চিত্রতারকা ফেরদৌস ও তারিন জাহান প্রমুখ।