সরকার লোক দেখানো উন্নয়ন করে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার দেশের সকল মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, লোক দেখানো উন্নয়ন চাই না। দেশের সব মানুষের উন্নয়ন চায় সরকার। সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক ইন অডিটোরিয়ামে ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অবস্থান ও অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এম এ মান্নান বলেন, সরকারের গত ১২ বছরের শাসনামলে দেশের সার্বিক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমরা লোক দেখানোর জন্য কাজ করছি না আমরা কাজ করছি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার আলোকে।
তিনি বলেন, আপনারা অর্থের অভাবে অনেক কাজ করতে পারছেন না, সেটা আমরা জানি কিন্তু চাইলেই আমরা কোন প্রতিষ্ঠানে অর্থ দিতে পারি না। সরকারের নীতিমালা রয়েছে নীতিমালার আলোকে কাজ করছি। সবাই জানতে চায় কাদের অর্থ দিচ্ছি তারা কি কাজ করছে।
প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দায় আমাদের দায়িত্ব। আপনারা শুধু সভা সেমিনারে আমাদের ডেকে অভিযোগ করবেন না। আপনার মন্ত্রণালয়ে আসুন আপনাদের অভিযোগ জানান। আমরা সবগুলোর সুরাহা করতে না পারলেও অন্তত কিছু তো করতে পারব।
ডিজেবল রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) উপদেষ্টা ডাক্তার আনিসুর রহমানের উপস্থাপনায় ও নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধিতা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে ২০১৮ সালে। ১৮টি কর্মক্ষেত্রে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কাজ ধরা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি ও চলমান হিসেবে কাজ ভাগ করা হয়েছে জাতীয় বাজেটে এ পর্যন্ত ১ টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়। ১৪৩টি স্কিমের মধ্যে ৭টি স্কিম। সম্পূর্ণ বাজেটের কেবল ১.৬% ডিরেক্ট ও সেমি-ডিরেক্ট মিলিয়ে প্রতি ব্যক্তির জন্য মাসিক বরাদ্দ মাত্র ৫৪২ টাকা। দৈনিক মাথাপিছু বরাদ্দ ২১ টাকা, বা ০.২৫ ডলার।
প্রতিবন্ধীরা কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় বছরে ১.১৮ বিলিয়ন ডালার ক্ষতি হচ্ছে। যা জিডিপির ১.৭৪ শতাংশ। প্রতি প্রতিবন্ধীর জন্য ক্ষতি হচ্ছে ১৪৮ ডলার। সরকারকে সামনের বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে সভায় অনুরোধ জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন