নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকানোর একটাই উপায়; বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি। যেখানে কয়েকশ কোম্পানির বদলে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানীর অধীনে চলবে বাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস কোম্পানিগুলোর উপর বিআরটিএ’র কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য যে ধরনের পেশাদারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন সেটাও নেই ঢাকায়।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর। তার ওপর আবার অপরিকল্পিত নগরায়ন। ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় শৃংখলা ছিলো না কখনই।
তারপরও তেলের দাম বাড়াসহ নানা কারণে ভাড়ার নৈরাজ্যতো আছেই। আছে যেমন খুশি তেমন বাস চালানো। রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণও এটি।
আবার কোন গাড়ি গ্যাসে চলে আর কোনটি তেলে; তারও কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তাই ভাড়া নিয়েও নেই কোন স্বচ্ছতা।
তেলে চলা গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি না করলে ধর্মঘট আবার বৃদ্ধির করার পর গ্যাসের গাড়ির ভাড়াও রাখা হচ্ছে বেশী। কতৃপক্ষ কঠোর হলেই বাস বন্ধের হুমকি। কিংবা অঘোষিত ধর্মঘট। সব দিক থেকেই জিম্মি কেবল সাধারন নাগরিক।
ঢাকার সব বাসকে এক ছাতার নীচে নিয়ে আসার পরিকল্পনা, বাস রুট ন্যাশনালাইজেশনের কাজও এগুচ্ছে ধীর গতিতে। অথচ এটি বাস্তবায়নে যত দেরি হবে ততো বাড়বে বিশৃংখলা। বাড়বে মানুষের ভোগান্তি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে কেবল অবকাঠামো খাতেই বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য যে পেশাদারি একটি সংস্থা থাকা দরকার সেটি এখনো গড়ে উঠেনি।
বিআরটিএর গঠন কাঠামোও যুগোপযোগী নয়। তাই পেশাদারি একটা সংস্থা গড়ে তোলার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।