যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায়। কখনও গণতন্ত্রের কথা বলে, কখনও সুশাসন; আবার কখনও সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতি কথা বলে। এটা তাদের একটা রাজনীতি। গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন সকাল ৯টার দিকে সিলেটে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে নেমেই নির্মাণাধীন নতুন কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে দাওয়াত দিল না দিল তাতে কিছু আসে যায় না, আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে এত চিন্তা কেন! সম্মেলন তো শত শত হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে, আর নতুন বাইডেন প্রশাসন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। বেচারা খুব কষ্ট করে এটা করেছে। এখনও ক্যাপিটালের যে ঘটনা তা সামাল দিতে হচ্ছে। এ রকম একটি পরিপক্ব গণতান্ত্রিক দেশ সেখানেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের লোকজনই শেখায়।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে স্থিতিশীল গণতন্ত্র আছে। সব দেশেরই ব্যত্যয় আছে, দুর্বলতা আছে। সব বিষয় সামনে নিয়ে দিনে দিনে যাতে ভালো করতে পারি তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্যের ফরমায়েশে গণতন্ত্র হয় না। শুধু মুখে বললে হবে না মনমানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের দেশে সহনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী করব। কে দাওয়াত দিল না দিল তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেন! বরং আমাদের চিন্তা করা উচিত আগামী নির্বাচনে যাতে একটি লোকও মারা না যায়। কোথাও কোনো বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধান করার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশে একসময় গণতন্ত্র ছিল না, দেশের মানুষই গণতন্ত্র এনেছে। আমাদেরই চেষ্টা করতে হবে। আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি। গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি। কাকে দাওয়াত দেবে এটিও তাদের বিষয়।’


বিজ্ঞাপন