তারা পারিবারিকভাবেই মাদক ব্যাবসায়ী পরিবার!

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থেকে ৭১ হাজার ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আটকরা হলেন- শাহাদাত হোসেন, মনি ইসলাম ও জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা।


বিজ্ঞাপন

বুধবার রাতে পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের নাভানা প্রোবানী রিজডিল লিমিটেডের ৪ নম্বর ভবনের ২ নম্বর ভবনের সামনে ও বেইজমেন্টে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার উপ-পরিচালক (ডিডি) পারভীন আক্তার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন , অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজীব মিনা ও খিলগাঁও সার্কেল ইন্সপেক্টর ফজলুল হক খানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

এ সময় পৃথকভাবে লুকিয়ে রাখা দুটি গাড়ির ভেতর থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তিনজনকে।

পারভীন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ইয়াবার চালানটি তারা টেকনাফ থেকে গোপনে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এগুলো রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিলো আটকদের।

এই চক্রের প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে সুজন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ৪টি মামলা রয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী মনি ইসলাম মাদকের রমরমা ব্যবসা করছিলেন। তাকে সহযোগিতা করছিলেন আটক অন্য দুজন।

মনির বিরুদ্ধে এর আগেও শাহআলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারা ভোগ করে গত ২৬ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। পরে আবারও স্বামীর সঙ্গে মাদক বাণিজ্য শুরু করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নেের জবাবে পারভীন আক্তার বলেন, আটকরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। পারিবারিকভাবেও তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করছেন।

উদ্ধার ইয়াবার চালানটি টেকনাফ থেকে গোপনে নিয়ে এসেছেন আটকরা। আটক মনির স্বামী রাজু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একজন মাদক কারবারি।

অপর এক প্রশ্নেের জবাবে তিনি বলেন, মনি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৩১ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে ২০১৯ সালের শাহআলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মনির স্বামীর কারাগারে রয়েছেন।