নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পরিবর্তিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল নিয়োগের ফলে জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ লোক আসবে। সম্প্রতি নতুন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া কনস্টেবল নিয়োগ প্রসঙ্গে জনগণকে নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কনস্টেবল পদে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগে সক্ষম হয়েছি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পুলিশ ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে পরিবর্তিত পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নতুন প্রক্রিয়ায় কনস্টেবল নিয়োগ ছিল একটি দুঃসাহসিক কাজ। সফলভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা বাংলাদেশ পুলিশে এক নবযাত্রার সূচনা করেছেন, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। আপনারা এ ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলেন।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনশীল। সময়ের প্রয়োজনে সংগঠনে পরিবর্তন আনতে হয়। যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয় না তা মৃত। আমরা মেধার পাশাপাশি শারীরিকভাবে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করেছি। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে মানুষ এক্ষেত্রেও পরিবর্তন দেখবে।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধনের মধ্য দিয়ে এ পরিবর্তনের সূচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় চল্লিশ বছর পর কনস্টেবল নিয়োগে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব ও সুযোগ্য পরিচালনায় বাংলাদেশ শনৈ শনৈ উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময় ম্যাজিক। আর এ ম্যাজিকের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য টেলিটক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ভবিষ্যতেও টেলিটকের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ পুলিশ আগ্রহী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, সরকারি সংস্থা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থেকে স্বচ্ছ নিয়োগে অবদান রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে টেলিটক বিভিন্ন সরকারি সেবা স্বল্প খরচে সহজে জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আজকের কর্মশালা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, টেলিটক পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থেকে স্বচ্ছ নিয়োগে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম। সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সার্বিক দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এআইজি (আরএন্ডসিপি-১) মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং টেলিটকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন। সব রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি কর্মশালায় যুক্ত ছিলেন।
