বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এখন পঞ্চম ———– ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

অন্যান্য এইমাত্র

আজকের দেশ রিপোর্ট ঃ ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২০২১ সাল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছর। এ বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ৪১তম স্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এখন পঞ্চম।


বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এককালের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ২০৩৫ সালে হতে যাচ্ছে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক পোস্টে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান, এবং বলেন, যে বাংলাদেশ ছিল একসময় অবহেলিত, দারিদ্র্যপীড়িত; যে বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা-বিশ্ব উপহাস করত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে; প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ, সৃজনশীল ও সাহসী নেতৃত্বের ফলে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল। যে বাংলাদেশ একসময় পরিচিতি সমস্যায় ভুগত, সেই বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে।

যে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল শূন্য হাতে, সেই বাংলাদেশ এখন মহাশূন্যে উপগ্রহ পাঠায়, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু বানায়। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সেই বাংলাদেশ এখন তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের চোখে এক বিস্ময়।

কোভিড-১৯ আমাদের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে।

যখন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩ শতাংশের বেশি সংকোচন দেখা যাচ্ছে, সেখানে সময় মতো হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

‘টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ সমাজ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল মহোদয়ের এ দর্শন এবং আইজিপি ‘জনগনের ১ম ভরসাস্থল’ হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিগত বছরে আমরা ঢাকা রেঞ্জ পরিবার সর্বাত্নক ও সম্মিলিত চেষ্টা করেছি।

অধিক্ষেত্রের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ আমাদের সহযোগী ছিলেন। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আমাদের সমন্বিত প্রয়াস নিশ্চয়ই অবদান রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম দিনে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

আমাদের এমন লক্ষ্যমুখী ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আগত দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে এবং আমরা সোনার বাংলাদেশ গডায় আমাদের দায়িত্বসমূহ পালনে সমর্থ হবো বলে নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা আশা ও বিশ্বাস করি। সবার জীবন কর্মময় ও প্রশান্ত হোক, সবার জন্য শুভেচ্ছা, শুভকামনা ও ভালেবাসা।
হ্যাপি নিউ ইয়ার। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।