দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ট্যানারি বন্ধ হচ্ছে

বিশেষ প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংকটে সাভার ট্যানারি শিল্প। পরিবেশ সম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন অবস্থায় উৎপাদন কেন বন্ধ করা হবে না, এ বিষয়ে বিসিকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এরই মধ্যে কমপ্লায়েন্স পরিপালনে ব্যর্থ ট্যানারি বন্ধে তালিকা করেছে বিসিক। অর্ধশতের বেশি ট্যানারির ছাড়পত্র দেবে না পরিবেশ অধিদফতর।
উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হচ্ছে কঠিন বর্জ্য। বিশাল এলাকা জুড়েই যেন ময়লার ভাগাড়। যা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এলাকার পরিবেশ। রাসায়নিক মিশ্রিত দূষিত পানি পরিশোধনে বসানো হয়েছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। কিন্তু শতভাগ দূষণ রোধে এখনও প্রস্তুত হয়নি এই যন্ত্র। এমন অবস্থায়, দূষণ সৃষ্টিকারি সাভার ট্যানারি কমপ্লেক্স বন্ধের সুপারশি করেছে এ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কেন বন্ধ করা হবে না মর্মে বিসিকের কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
এদিকে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত না করা ট্যানারিগুলোকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিক। এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে তালিকা। অর্ধশতের বেশি ট্যানারির ছাড়পত্র দেবে না পরিবেশ অধিদফতর।
মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ মনে করছেন, পরিবেশসম্মত উৎপাদনে না গেলে সেটি সবার জন্যই ক্ষতিকর।
পরিবেশ সম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করার পেছনে সরকার এবং উদ্যোক্তা, কোনো পক্ষই দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করছেন চামড়া শিল্প উন্নয়ন জাতীয় ট্রাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ড. আবু ইউসুফ।
এদিকে পরিবেশ সম্মত উৎপাদন ব্যবস্থা না থাকায় বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।


বিজ্ঞাপন