‘টানেল’ থেকে বিএনপি বের হতে পারবে -তথ্যমন্ত্রীর আশাবাদ

অন্যান্য এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মহাসমুদ্রে যখন কেউ থাকে, তখন বাঁচার জন্য তারা একটা আলো দেখার চেষ্টা করে, বিএনপি’র অবস্থাটাও হয়েছে ঠিক সেই রকম। টানেলের অভ্যন্তরে তারা আলো দেখতে পারলে ভালো, আমি আশা করব বিএনপি টানেল থেকে বের হতে পারবে।’


বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে শহীদ শেখ রাসেল পার্কে চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী’র সভাপতিত্বে সিএমএসএমই বাণিজ্য মেলা ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতার পর তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য ‘বিএনপির আন্দোলন এখন টানেলের শেষ পর্যায়ে, ভেতর থেকে তারা আলো দেখতে পাচ্ছেন’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বিএনপি টানেলের ভেতর থেকে আলো দেখছেন, শুধু আলো দেখা নয় আমি আশা করব তারা টানেল থেকেই বের হতে পারবেন এবং সত্যিকার অর্থে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘পুলিশের ওপর নির্ভর করে সরকার দেশ চালাচ্ছে, পুলিশই সরকারের একমাত্র শক্তি’ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা, কখনো সরকারি শক্তির উপর বিশ্বাস করেনা। বরং বিএনপি অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। অস্ত্রের ওপর ভর করে ও লাশের ওপর পাড়া দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল, টিকেও ছিল লাশের ওপর পাড়া দিয়ে। বেগম খালেদা জিয়াও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সেটাতে বিশ্বাস করেনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের রায় নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশের স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশের সমস্ত অর্জন অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজকে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী হয়ে যেভাবে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে এসেছেন, সেটি শুধু আমাদের দেশের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব ইতিহাসে একটি উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে গিয়েছিলেন, তখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে যখন দেখা হয়, তখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে বলেন ‘আপনি আমার জীবনের জন্য একটি প্রেরণা’।

নারীদের সামগ্রিক ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর ৭০ শতাংশ কাজ করে নারীরা। এবং আমাদের দেশ এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রেও নারীরা অনেক ভূমিকা রেখেছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে কেউ কখনও ভাবেনি একজন নারী ডিসি, এসপি, ইউএনও হতে পারবে।

এখন নারী রাষ্ট্রদূত, নারী হাইকোর্টে এফিলিয়েট ডিভিশনের বিচারপতি, নারীরাই সচিব হচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলের ৭০ শতাংশ শিক্ষিকাই নারী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, নারী উদ্যোক্তা নূরান ফাতিমা, আলী সাবের, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান রেখা আলম চৌধুরী প্রমুখ।