কাশিমপুর কারাগারে কয়েদিদের খাবার ও চিকিৎসা নিয়ে ঘাপলা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বগুড়া অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র জাতীয়

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ১০ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৮ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ কাশিমপুর কারাগার, গাজীপুর-এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কয়েদিদের নিম্নমানের খাবার প্রদান, ক্যান্টিনের খাবারের দাম বেশি রাখা এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান না করার অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সালাম আলী মোল্লার নেতৃত্বে বুধবার ১২ জানুয়ারি, একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য সরেজমিনে কাশিমপুর কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কারাগারে রান্নাঘর, ক্যান্টিন ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ খতিয়ে দেখেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা টিমকে জানান, এই খাবার সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়। তারা এখানে শুধু রান্না করেন।

তবে খাবারেরর মান পূর্বের তুলনায় সন্তোষজনক হলেও রান্নাঘরটি বেশ অপরিষ্কার। ক্যান্টিনের খাবার কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় তবে কার্ডের বিপরীতে টাকা জমার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

দুদক টিম কারা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে দেখতে পায় সেখানে তাদের নিজস্ব কোনো ডাক্তার এবং নার্স নেই। একজন ডাক্তার প্রেষণে কর্মরত আছেন। হাসপাতাটি উচ্চ সংক্রমণ ঝুকিপূর্ণ এলাকা হওয়া সত্বেও স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না ।

টিম অভিযানকালে কতিপয় কারারক্ষীদের যোগসাজশে কিছু কয়েদিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। স্ক্যানিং-এর মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে কারাগারে রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবারের মানোন্নয়ন, প্রায় দুহাজার কারাবন্দীর জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার নার্সসহ সকল আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসহ আলাদা ৫০-১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ এবং কারাগারে কয়েদিদের মোবাইল ফোন সরবরাহে বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফর্সমেন্ট।

অপর এক অভিযোগে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বগুড়ার উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বগুড়ার সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানের
নেতৃত্বে বুধবার অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। টিম সরেজমিনে সড়ক ও জনপথ কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে কথা বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।

দুদক টিম অভিযোগকারী, ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নিয়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এবং তথ্য সংগ্রহ করেছে। টিম সংগ্রহীত তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৮টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।