র‌্যাব-৭ কর্তৃক খাগড়াছড়ির চাঞ্চল্যকর আউয়ুব হত্যার মামলার আসামী বরিশাল হতে গ্রেফতার

অন্যান্য এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৫), পিতা- ইমান আলী, সাং- উত্তর মিলনপুর, থানা- দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা পেশায় একজন বাস চালক। সে শান্তি পরিবহন ঢাকা মেট্রো ব- ১৪-০৮১৫ নামক বাসের চালক।


বিজ্ঞাপন

অপর দিকে অত্র মামলার ডিসিষ্ট মোঃ আইয়ুব আলী (২৪), পিতা- মৃত জুলফু মিয়া, সাং- শালবন গরুগাড়ী টিলা, থানা- খাড়গাছড়ি সদর, জেলা- খাগড়াছড়ি একজন জীপ চালক।

আইয়ুব আলী তার জীপে ঢালাই কাজের শ্রমিক ও ঢালাই সরঞ্জাম নিয়ে নিজ এলাকা শালবন হতে দীঘিনালার উদ্দেশ্যে রওনা করে গত ৫ জানুয়ারি, সকাল অনুমান ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানাধীন মাইল এলাকার দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর পৌছলে বিপরীত দিক থেকে উক্ত আসামী তার বাস দিয়ে ভিকটিমের জীপকে সামনা সামনি চাপ দিতে চাইলে ভিকটিম কোন মতে পাহাড়ে জীপ টেকিয়ে যাত্রীসহ প্রানে রক্ষা পায় কিন্তু বাস চালক ও তার সুপারভাইজার ২ নং আসামী মোঃ মাসুম মিয়া (৩০), পিতা-মৃত আলতাফ হোসেন, সাং- জালিয়াপাড়া, থানা- রামগড়, জেলা- খাগড়াছড়ি ইচ্ছা করে পুনরায় বাস পিছনে এনে ভিকটিমের গাড়ীর কাছে এসে থামে ও ২নং আসামী বাসের জানালা খুলে হাতে কাঠের লাঠি দিয়ে ভিকটিম আইয়ুবের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত দিলে আইয়ুব আলী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

মাটি থেকে উঠে ভিকটিম বাসের চালককে এহেন কাজের কথা জিজ্ঞাসা করলে আসামী বলে বেশী কথা বললে এখনেই তোকে রাস্তায় পিষে মারব। সকল আসামী পরামর্শ করে ১নং আসামী কালক্ষেপন না করে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিকটিম আইয়ুবকে বাস চালিয়ে রাস্তায় পিষে হত্যা করে।

স্বাভাবিক ভাবে এটিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার মানসে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এটি দূর্ঘটনা জনিত মৃত্যু নয় এটি শীতল রক্তে হত্যার ঘটনা।

রাস্তায় দুই ড্রাইভার অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে বেঁচে গিয়ে ঝগড়াঝাটি করছিল এর মধ্যে উক্ত আসামী (বাস চালক) ইচ্ছাকৃতভাবে বাস চালিয়ে জীপ গাড়ীর চালক আইয়ুব আলীকে পিষে দিয়ে রাস্তায় হত্যা করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ নুর নবী @ জনি বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করিলে বাস চালক মোঃ আলমগীর হোসেন, সুপারভাইজার মোঃ মাসুম মিয়া, এবং অজ্ঞাত হেলপার এর বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি থানার মামলা নং- ০২ তারিখঃ-০৬/০১/২০২২ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার পর হইতে আসামীরা পলাতক ছিল।

উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম প্রযুক্তির ব্যবহার ও কঠোর নজরদারির শুরু করে।

প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারি, ২ টা ৫ মিনিটের সময় বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভাসানচর ইউপির মাঝগ্রাম এলাকা হতে এজাহার নামীয় ১ নং আসামী বাস চালক মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী অকপটে ঘটনার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহনের নিমিত্তে খাগড়াছড়ি জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।