অসম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই —— আ,ফ,ম বাহাউদ্দীন নাছিম

অন্যান্য এইমাত্র

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত, ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল শাখা ছাত্রলীগের সমন্বিত ‘হল সম্মেলন-২০২২’ উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন বার বার চোখ পড়ছে, আমরা তো আছি বন্ধু, জেগে উঠো পদাতিক, জয় জয় ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ, সম্প্রীতির বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই!
স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেই জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই বাংলাদেশকে আমরা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হিসাবে দেখতে চাই।
যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা আগামী শতকের বাংলাদেশকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাই।

সে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যিনি আমাদের স্বপ্নসারথী, যিনি আমাদেরকে অন্ধকারের জগত থেকে, হতাশার জগত থেকে, আলোর পথে নিয়ে এসেছেন, আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নীতি আদর্শের প্রতি ঐক্য প্রকাশ করে বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হই।

যেকোন মূল্যে বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার জন্য গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমগ্র শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করি। যারা বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি করে! যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার করে!

অর্থ বিনিয়োগ করে, লবিস্ট নিয়োগ করে! তাদের কবর রচনা করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাঙালি জাতি, জাতিসত্ত্বা, বাঙালির চেতনা,শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিকেই বিকশিত করে নাই, বাংলাদেশকে একীভূত করেছে।

অসাম্প্রদায়িক চেতনা যার নেতৃত্বে যিনি সৃষ্টি করেছেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তার সেই আদর্শকে রক্ষা করার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা আমাদের ভূলে গেলে চলবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে। কারা আমাদের সংবিধানের উপর আঘাত হেনেছিল।

তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল? তারা আমাদের পবিত্র সংবিধানকে খন্ড বিখন্ড করেছে! গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে! পদদলিত করেছে! তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছে!

তারা কি শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেছে? নিশ্চয়ই না, তারা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। আমাদের জাতিসত্তাকে এগিয়ে নেওয়ার যে মূলমন্ত্র সেই শক্তিকে হত্যা করতে চেয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, সম্প্রীতির বাংলাদেশ, উন্নতির বাংলাদেশ এবং মৌলবাদ, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ আমরা যে স্বপ্ন দেখি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার সে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবই তুলবো। এই হোক আমাদের শপথ।