কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ০৭টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!


বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসকের কায‌‌‍ালয়, কক্সবাজার-এর কমচারীদের বিরুদ্ধে গণপূর্ত বিভাগের জমি দখল করে দোকান/বাড়ি নিমাণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার-এর সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন-এর নেতৃত্বে সোমবার ৩১ জানুয়ারি, একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

সরেজমিনে অভিযান পরিচালনাকালে টিম দেখতে পায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কাযালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কমচারীগণ ২টি সমিতির নামে কক্সবাজার বন বিভাগ ও পুলিশ সুপারের কাযালয়ের মাঝামাঝি এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্যবান জমি দখল করে দোকান/ঘর নিমাণ করেছেন।

এ সময় দোকান মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে মৌখিক/লিখিত চুক্তির মাধ্যমে তারা মাসিক ভাড়া দিয়ে দোকান পরিচালনা করছেন।

এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি জানান যে, তারা উক্ত জমি বরাদ্দের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে আবেদন করেছেন। যা মন্ত্রণালয়ে পেন্ডিং অবস্থায় আছে। তাই তারা উক্ত জমি দখলে আছেন।

উল্লেখ্য, ৩য় শ্রেণীর কমচারী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি লিখিতভাবে জানান যে, গণপূর্ত বিভাগ চাইলে তারা জমিরদখল ছেড়ে দিবেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবরে শীঘ্রই বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত “ভাসানচরে স্থানান্তরিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহায়ক ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ” এ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ভাসানচরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, ২৭ জানুয়ারি/২০২১ থেকে প্রাপ্তবয়ষ্ক ৮,৫০০ জন রোহিঙ্গাকে ১২৪ জন প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণার্থীদের দুই বেলার নাস্তা ও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণ উপকরণ হিসেবে একটি খাতা, একটি কলম ও একটি ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য কোন ভাতার ব্যবস্থা (নগদ টাকা প্রদান) ছিলনা। তথ্য সংগ্রহকালে টিম আরও জানতে পারে, বেশিরভাগ পুরুষ রোহিঙ্গারা প্রশিক্ষণের সময় অনুপস্থিত ছিলেন।

কারণ তারা মাছ ধরা, কৃষি কাজ ইত্যাদি কাজে বেরিয়ে পড়তেন মর্মে জানা যায়। তাদের বদলে তাদের স্ত্রী’রা প্রশিক্ষণে অংশ নিতেন। ফলে যেসব মহিলার স্বামী আছে তারা দুইবার করে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক প্রশিক্ষণের মডিউল ও প্রশিক্ষণের নীতিমালা, প্রশিক্ষকদের সেশন সংখ্যা, উপকরণ ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য জনাব শরিফুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, বিআরডিবি, হাতিয়া, নোয়াখালীকে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহপূর্বক অভিযোগ প্রসঙ্গে পরবর্তীতে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।