সোমবার ৩১ জানুয়ারি, বিকেলে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগণকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এরপর বাকিদের কাছে পৌছে দেওয়া হয় শীতবস্ত্র।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০টি ওয়ার্ডে অবস্থিত ২০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩০০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি করে হুডি জ্যাকেট এবং ১৩০০ জন অভিভাবক ও শিক্ষকের প্রত্যেককে একটি করে কার্ডিগেন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। শীতের তীব্রতার বিষয়টি বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মোট ২৬০০ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষককে শীতবস্ত্র প্রদান করা হলো। আমরা সব সময় মানুষের পাশে আছি, আগামীতে থাকবো।
মেয়র আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারাদেশে দফায় দফায় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। আগামীতেও এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে সুন্দর রাজশাহী গড়তে চাই। আপনারা সকলে পাশে থাকবেন, দোয়া করবেন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
উপস্থিত ছিলেন রাবির পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সাবরিনা নাজ, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নুরুজ্জামান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, সচিব মশিউর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, মাজেদা বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা সৈয়দ জুবায়ের হোসেন মুন, শিক্ষা কর্মকর্তা আনারুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নগরীর দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের একাডেমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ণ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
রাজশাহী মহানগরীতে ১৯৯৪ সালে বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। রাজশাহী মহানগরীতে ২০টি ওয়ার্ডে ২০টি কেন্দ্র পরিচালিত হয়।
রাজশাহী সিটি প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ প্রকল্পে শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উভয় কেন্দ্রে ৩০ করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে।
এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়ণে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে দুইজন শিক্ষিকা। যারা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।