নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ প্রায় ১ বছর আগে ঢাকার চকবাজার থানায় একটি মামলা রুজু হয়। সে সময় চানমিয়া নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
সে স্বীকার করে, সে সহ পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও মোঃ সালাম মিলে একসাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এর চালান ঢাকায় নিয়ে এসে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে।
মামলাটি শুরুতে প্রায় দুই মাস ছয়দিন থানা পুলিশ তদন্ত করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান,সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), চকবাজার থানা, ডিএমপি, মামলাটি তদন্তকার্য সমাপ্ত করেন, এবং গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ চানমিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও মোঃ সালাম এর নাম ঠিকানা সঠিক না পাওয়ায় উক্ত আসামীদের মামলার দায় হইতে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন।
আদালত গত ১ এপ্রিল ২০২১ সালে চকবাজার থানার দাখিলকৃত অভিযোগ পত্র অগ্রাহ্য করেন এবং মামলাটি পুনরায় তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে পিবিআই’কে নির্দেশ দিলে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) গ্রহন করে।
ইউনিট ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার এর তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (নিঃ) মোঃ আশরাফুল ইসলাম পলাতক আসামীদের শনাক্ত করার জন্য প্রচলিত সকল পদ্ধতি প্রয়োগ করে।
সিডিএমএস পর্যালোচনা করে এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলাম মন্টু সেখ (৪০) এর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ ফেব্রুয়ারি, বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় শ্যামপুর রেল লাইন হতে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে ঘটনার দিন সে নিজেসহ মামলার অপর আসামীরা মিলে দিনাজপুর জেলা থেকে ৩৭৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে আসে। চক বাজার থানা এলাকায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সে এবং আসামী মোঃ সালাম (৩১), পালিয়ে যায়।
আসামী চানমিয়া র্যাবের হাতে ধরা পড়ে। গ্রেফতারকৃত আসামী সিরাজুল ইসলাম মন্টু স্বীকার করে যে,তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে।
আসামীর দেওয়া তথ্য মোতাবেক সিডিএমএস পর্যালোচনা এবং তার স্থায়ী ঠিকানা ফরিদপুর জেলায় আলফাডাংগা থানায় যোগাযোগ করলে আলফাডাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান ,তার বিরুদ্ধে আলফাডাংগা থানায় একটি সাজা ওয়ারেন্টসহ মোট ৫ টি ওয়ারেন্ট আছে।
অফিসার ইনচার্জ, আলফাডাংগা থানা, ফরিদপুর জেলার দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সে ০১। সবুজবাগ থানার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ০২। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী ০৩।
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামী ০৪। খিলগাঁও থানার মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী এবং ০৫। শ্যামপুর থানার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, সে দিনাজপুর জেলায় ঘোরাঘাট থানায় ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার হয়েছিল। গত ২৫ জানুয়ারি, মামলার এজাহার নামীয় অপর পলাতক আসামী মোঃ সালাম (৩১ কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।