ঢাকা অঞ্চলে ২০১৭ টি ইট ভাটার মধ্যে ৭৪৪ টি অবৈধ, খুলনা অঞ্চলে ৯৭৩ টি’র মধ্যে ৬২৪ টি ই অবৈধঃ দুদকের অভিযান গোমার ফাঁস

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ১০টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে!!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শারিকা ইসলাম ও মাহবুবুল আলমের সমন্বয়ে একটি টিম গতকাল বুধবার ৯ মার্চ উক্ত দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট উইং এর পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তদের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে টিম।
অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমানে সারাদেশের মোট ইটভাটার প্রায় অর্ধেকই অবৈধ। শুধু মাত্র ঢাকা অঞ্চলে মোট ২০১৭টি ইটভাটার মধ্যে ৭৪৪টি ইটভাটা অবৈধ এবং খুলনা অঞ্চলের ৯৭৩ টি ইটভাটার মধ্যে ৬২৪ টি অবৈধ। সম্প্রতি সময়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিতভাবে উচ্ছেদ অভিযানসহ পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান এবং লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনায় জোর দেয়া হচ্ছে বলে টিমকে জানানো হয়। তবে অভিযোগের তুলনায় অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

কিছু ক্ষেত্রে আবার হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার জন্য উচ্ছেদ অভিযানের গতি মন্থন হয়ে থাকে বলে জানান অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট সেল। দুদক টিম অবৈধ ঘোষিত ইটভাটা, সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের অর্ডারসমূহ এবং সম্প্রতি সময়ে পরিচালিত অভিযানসমূহের বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করেছে যা পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

মোঃ দেলোয়ার হোসেন খন্দকার, সাবরেজিস্টার, সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস ময়মনসিংহ এর বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের মাধ্যমে দলিল প্রতি সরকারি ফি এর অতিরিক্ত ৪০০০/৫০০০ টাকা আদায় এবং ঘুষ গ্রহণ পূর্বক সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করার অভিযোগে দুদক, সজেকা, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মোঃ বুলু মিয়ার নেতৃত্ব একটি এনফোর্সমেন্ট টিম আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। টিম প্রথমে ছদ্মবেশে সকাল থেকে উক্ত কার্যালয়ে অবস্থান করে এবং কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে ও তথ্য সংগ্রহ করে। পরে দুদক টিম সরাসরি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে বিভিন্ন সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে টিম। অতিরিক্ত অর্থ বা ঘুষের টাকা দলিল লেখকদের মাধ্যমে সাব-রেজিস্টারকে প্রদান সংক্রান্তে কয়েকজন দলিল লেখককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ পূর্বক কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া-এর সদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া মােবাইল নম্বর সৃজনপূর্বক প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযােগে দুদক, সজেকা, কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসনের নেতৃত্বে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস, দৌলতপুর, কুষ্টিয়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে সমাজসেবা অফিসার সকল রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে পারেননি। প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত আংশিক রেকর্ডপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে অবশিষ্ট রেকডর্পত্র সরবরাহ করবেন মর্মে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জানিয়েছেন। রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।