মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ (৮ এপ্রিল) শুক্রবার আনুমানিক ২:৩০ মিনিটের সময় মিনা হিলোন হোসেনসহ ৫ জন কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার চেষ্টা করে স্থানীয় সন্ত্রাসী’রা।মিনা মিলন হোসেন এ প্রতিবেদক কে জানান,শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে আমরা আমাদের মাছের ঘেরে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করি এবং আড়পাড়া গ্রামের রবিউল শেখ এর বাড়ির পশ্চিম পাশ্বের রাস্তার উপরে পৌছালে রবিউল শেখ,(৪৫),রজিবুল শেখ (৩০),পিতা,মৃত,আয়ুব আলী শেখ,রাকিব বিশ্বাস (৩৫),পিতা,পান্না বিশ্বাস,বাচ্চু মিয়া (৫০) পিতা,অজ্ঞাত,মোফাজ্জেল মোল্যা (৫৫),পিতা,সোনা মোল্যাসসহ আরো অনেকে আমাদের উপরে পরিকল্পিত ভাবে রাম-দা,ছ্যান-দা,চাইনিজ কোরাল,লোহার রড দিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে।এসময় মোফাজ্জেল মোল্যা হুকুম দিয়ে বলে,শুয়ারের বাচ্চাদের খুন করে ফেল এমন অর্ডার পেয়ে রবিউল শেখ,রাম-দা দিয়ে আমার ছোট ভাই মিনা হিলোন হোসেনকে মাথা লক্ষ করে কোপ মারে এবং হুকুমকারী মোফাজ্জেল মোল্যা রামদা দিয়ে আমার ভাই এর মাথা লক্ষ করে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং তাদের সাথে থাকা সদস্য’রা রাম-দা,ছ্যান-দা,চাইনিজ কোরাল,লোহার রড দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে,এসময় আমার ভাই এর কাছে থাকা এক লক্ষ আঠারো হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলা কারী’রা।আমাদের আন্তচিৎকারে জাহাঙ্গীর হোসেন,পিতা,এস এম শাহাজান শেখ,ফয়সাল মিনা,পিতা,মিনা মিলন হোসেন,মো:রাসুল সরদার,পিতা,মো:মোকাররম সরদার,গ্রাম,আড়পাড়া,থানা ও জেলা নড়াইলগণ এগিয়ে আসলে হামলাকারী’রা তাদের অকার্থ ভাষায় গালিগালাজ সহ ভয়ভিতি দেখিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় আমরাসহ আমার ভাই মিনা হিলোন হোসেনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমার ভাই মিনা হিলোন হোসেনকে রিফার্ড করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন,নড়াইল সদর হাসপাতালে কর্তব্য রত চিকিৎসক।এ হামলার সংবাদ পেয়ে মির্জাপুর পুলিশ ফাড়ির অফিসার্স ইন্চার্জ মো:মুরসালীন অভিযান চালিয়ে হামলাকারী রাকিব বিশ্বাসকে আটক করেন।মির্জাপুর পুলিশ ফাড়ির অফিসার্স ইন্চার্জ মো:মুরসালীন সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,আড়পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা হয়েছে,আমরা সংবাদ পেয়ে অভিযুক্ত হামলাকারী রাকিব বিশ্বাসকে আটক করে থানা হাজতে প্রেরণ করেছি বলেও জানান।এ বিষয় নড়াইল সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান,মিনা মিলোন হোসেন।